শনিবার, ১০ জুন ২০২৩, ০৯:১০ অপরাহ্ন
সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য ঘরে অবস্থান করা গত বর্ষা মৌসুমে ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ গাইবান্ধার দরিদ্র মানুষ খাদ্য সংকটে চরম বিপাকে পড়েছে। এসব মানুষ বেকার সময় পার করছেন। অনেকের ঘরের সঞ্চিত খাবার শেষ হয়ে গেছে। নেই গচ্ছিত টাকা। দিন কাটছে অর্ধাহারেঅনাহারে। প্রিয় সন্তানদের মুখে দু’মুটো খাবার তুলে দেয়ার জন্য দুর্চিন্তায় রযেছে তারা। কাজের সন্ধান বা খাবার সংগ্রহের জন্য ভয়কে উপেক্ষা ইতিমধ্যেই ঘর ছাড়তে শুরু করেছে অনেকেই। সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কঞ্চিবাড়ী ইউনিয়নের নতুন দুলাল গ্রামের নুরুল ইসলামের সাথে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে কথা বলে জানা যায় তিনি প্রতিবেশীর কাছ পরিশোধ করার শর্তে আধা কেজি চাউল ধার করে এনে পরিবার পরিজন নিয়ে খেয়েছেন, আল্লাহ জানেন তিনি রাতে বা আগামীকাল কি খাবেন। সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের মুন্সিপাড়ার আব্দুল মান্নান বলেন ঘরে চাউল নেই, আগামীকাল সন্তানদের কি খাওয়াবো জানি না। এছাড়াও কঞ্চিবাড়ী ইউনিয়নের চার দোকানদার রাশিদুল জানান দির্ঘ আট দিন থেকে আমার চার দোকান বন্ধ। অনেকের কাছ থেকে ধার করে চলছি, আমি শুনছি আমাদের চেযারম্যার মেম্বার নাম এসছে কিন্তু আমি কিছুই জানী না, তাই বউ বাচ্ছা নিয়ে অতি কষ্ঠে জীবন যাপন করছি। অনেকে বলেন, করোনার কারণে মানুষ রাস্তায় বের হচ্ছে না। গত এক সপ্তাহ ধরে বেকার আছি। ঘরে খাবার নেই। তিন বেলাতো দুরের কথা এক বেলাই খেতে পারচ্ছি না। চাল-ডাল দেওয়ার কোনো খোঁজ নেই। শুধু সচেতন হইতে বলে। কেউ এসে কি খেলাম, না খেলাম খোঁজ নিলো না। শুধু মুখ বাঁধতে কয়। খাবার না থাকলে শুধু মুখ বেঁধে কী হবে? কেউ কোনো সাহায্যও করছেন না। গাইবান্ধার ৪টি পৌরসভা ও সাত উপজেলার ৮২টি ইউনিযনের অনেক নি¤œ আয়ের মানুষ এখনো সরকারি-বেসরকারি কোনো সাহায্য পাননি। জেলার দরিদ্র ও খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে দ্রুত খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে অসহায় মানুষের খাদ্যের ব্যবস্থা সরকার নিশ্চিত করবেন এটাই দাবি সাধারণ মানুষের। গত বৃহ¯পতিবার জেলা প্রশাসকের এক প্রেস রিলিজে জানা যায়, এ
পর্যন্ত জেলার ৭টি উপজেলা ও ৪টি পৌরসভায় ৯ হাজার ৪শত দরিদ্র শ্রমজীবি কৃষক পরিবারের মধ্যে ৯৪ মে. টন খাদ্য সামগ্রী ও ৮ হাজার ৯শত পরিবারের মধ্যে ৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়। এছাড়া বিতরণের জন্য জেলা প্রশাসনের ত্রাণ ভান্ডারে ১শত ৪২ মে. টন খাদ্য সামগ্রী ৬ লাখ ৪৫ হাজার টাকা মজুদ রয়েছে।