সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:৩৫ অপরাহ্ন

সুন্দরগঞ্জে ক্রেতা-বিক্রেতার ঝগড়া নিয়মিত

সুন্দরগঞ্জে ক্রেতা-বিক্রেতার ঝগড়া নিয়মিত

স্টাফ রিপোর্টারঃ সুন্দরগঞ্জে নিয়মিত হালনাগাদ করা হচ্ছে না নিত্য প্রয়োজনীয় কৃষিপণ্যের মূল্য তালিকা। সে কারণে ন্যায্যমূল্যে পণ্য না পেয়ে প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতারা। শুধু তাই নয়, প্রায় দুই মাস আগে টাঙানো কৃষিপণ্যের মূল্য তালিকায় বিভ্রান্ত হয়ে প্রতিনিয়ত বাগ্বিত-ায় জড়াচ্ছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বাজারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হাট-বাজারগুলোতে মূল্য তালিকা সাঁটানোর নির্দেশ দেয় কৃষি মন্ত্রণালয়। আর এ দায়িত্ব পালন করবে সংশ্লিষ্ট জেলা কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। এরই আলোকে সুন্দরগঞ্জ পৌরবাজারে প্রায় মাস দু-এক আগে একটি নিত্য প্রয়োজনীয় কৃষিপণ্যের মূল্য তালিকা সাঁটানো হয়। এ তালিকায় ২৫ প্রকার কৃষিপণ্যের দাম নির্ধারণ করা রয়েছে। কিন্তু এরপর থেকে মূল্য সংক্রান্ত কোনো তথ্য আর সংশোধন করা হয়নি।
সরেজমিনে দেখা যায়, সুন্দরগঞ্জে কৃষিপণ্যের বর্তমান বাজার দর এবং জেলা কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের দেওয়া সেই কৃষিপণ্যের মূল্য তালিকায় ব্যাপক গরমিল হচ্ছে।
দহবন্দ ইউনিয়নের বামনজল গ্রাম থেকে বাজার করতে আসা ক্রেতা মোঃ রবিউল ইসলামের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, আলু ১ কেজি, পেঁয়াজ ১ কেজি, রসুন ৫০০ গ্রাম, আদা ২৫০ গ্রাম ও কাঁচা মরিচ ২৫০ গ্রাম কিনলাম। তালিকা দেখে টাকা দিলাম, আর দোকানি আমার ওপর ক্ষেপে গেল। এ নিয়ে বাগ্বিত-াও হলো। পরে জানতে পারি প্রায় মাস দু-এক আগে এ তালিকা টাঙানো হয়েছিল। সে কারণে ব্যাপক গরমিল।
পৌর বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী মোঃ বিপ্লব মিয়া বলেন, আজকের সকালের বাজারে দেশি পেঁয়াজ পাইকারি দামে প্রতি কেজি কেনা পড়েছে ১১০ টাকা। আর নিত্য প্রয়োজনীয় কৃষিপণ্যের মূল্য তালিকায় পাইকারি দেওয়া আছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা। আমদানি পেঁয়াজ পাইকারি প্রতি কেজি কেনা আছে ১০০ টাকা। মূল্য তালিকায় দেওয়া আছে ৫১ থেকে ৫৪ টাকা। এভাবে তালিকায় দেওয়া মূল্যের সঙ্গে বাজারের মূল্যের কোনো মিল নেই।
তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন নয়, ঘণ্টায় ঘণ্টায় পরিবর্তন হচ্ছে জিনিসপত্রের দাম। আর অফিসের লোকজন প্রায় মাস দু-এক আগে এ তালিকা টাঙ্গিয়ে দিয়েছেন। এরপর আর তালিকাটি সংশোধন করা হয়নি। তালিকাটি টাঙানোর দিনই বাজারের সঙ্গে মিল ছিল না। সমস্যা তো হবেই।
এ বিষয়ে কথা হয় মজুমদার ভ্যারাইটি স্টোরের কর্মচারী মোঃ হাবিবুর ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, প্রতি কেজি খোলা আটা আমরা খুচরা বিক্রি করছি ৪২ টাকা। আর কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের নিত্য প্রয়োজনীয় কৃষিপণ্যের মূল্য তালিকায় দেওয়া আছে ৪৫ টাকা। খোলা সয়াবিন বিক্রি করছি প্রতি কেজি ১৬০ টাকা। তালিকায় দেওয়া আছে ১৫৬ টাকা। ফার্মের ডিম প্রতি হালি বিক্রি করছি ৩৮ টাকা। আর মূল্য তালিকায় দেওয়া আছে ৪৮ টাকা।
তিনি আরও বলেন, তারা তালিকা টাঙ্গিয়ে দিয়েছে, সেটা ভালো কথা। কিন্তু সেটি নিয়মিত তদারকি করা দরকার ছিল। না করায় পণ্যের দাম নিয়ে বাজারে ভুতুড়ে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় তালিকাটি বাজারে না রাখাই ভালো।
তালিকাটি নিয়মিত হালনাগাদের দায়িত্ব পৌরসভার খাজনা আদায়কারী মোঃ মোকলেছুর রহমানের। তিনি বলেন, জেলা বিপণন অফিস থেকে এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য আমাকে দেওয়া হয়নি। কথা ছিল তাঁরা আমাকে পরিবর্তিত মূল্য তালিকা পাঠাবেন। তবেই আমি এ তালিকা আপডেট করব।

 

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com