শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩, ০৮:২২ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ বহুল আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর সুন্দরগঞ্জ আসনের আওয়ামীলীগ দলীয় প্রয়াত এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যা মামলায় ৭ জনকে মৃত্যুদ- দিয়ে রায় ঘোষণার এক বছর পূর্তি হলেও সে রায় এখনও কার্যকর হয়নি। প্রয়াত মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের স্ত্রী ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক সৈয়দ খুরশিদ জাহান স্মৃতি জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ি এবং ব্যক্তিগতভাবে তিনি দ্রুত রায় কার্যকর করার দাবি জানান।
উল্লেখ্য, এমপি লিটন হত্যাকান্ডে জড়িত আসামিদের ২০১৯ সালের ২৮ নবেম্বর ৭ আসামির মৃত্যুদ-ের রায় ঘোষণা করেন জেলা ও দায়রা জজ দিলীপ কুমার ভৌমিক।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছেন- ওই আসনের জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি ও অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল আব্দুল কাদের খান এবং তার পিএস শামছুজ্জোহা, গাড়ি চালক হান্নান, ভাতিজা মেহেদি, শাহীন, রানা ও চন্দন কুমার রায়। এদিকে আদালত দন্ডপ্রাপ্ত আসামি চন্দ্রন কুমার রায়কে পলাতক দেখিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। যেদিন তাকে গ্রেফতার করা হবে সেদিন থেকেই তার রায় কার্যকর হবে বলে বিচারক তার রায়ে উল্লে¬খ করেন।
উল্লেখ্য যে, ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গার মাস্টারপাড়ার নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। এ ঘটনায় ৮ জনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা করে লিটনের বড় বোন ফাহমিদা কাকুলী বুলবুল। তদন্ত শেষে কাদের খাঁনসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ২০১৭ সালের ২১ ফেব্রুয়ারী বগুড়া বাসা থেকে গ্রেফতারের পর থেকে কাদের খাঁনকে গ্রেফতার করা হয়। তখন থেকেই তিনি গাইবান্ধা জেলা কারাগারে আটক রয়েছেন।
এই হত্যাকান্ডের পর পুলিশ দুটি মামলা দায়ের করে। একটি অস্ত্র মামলা ও অপরটি হত্যা মামলা। ইতোমধ্যে অস্ত্র মামলার রায়ে একমাত্র আসামি ওই আসনের জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি ও অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল আব্দুল কাদের খানকে গত ১২ জুন যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়েছে।