বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩, ০৭:৩০ পূর্বাহ্ন
সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুন্দরগঞ্জ পৌর সভার ১নং ওয়ার্ডের বালাপাড়া মহল্লাহর স্কুল শিক্ষক আশেক আলীর শিশুপুত্র শুভ হত্যার রায়ে চার্জশিট ভূক্ত ১০ জন আসামিকে বেকসুর খালাশ দিয়েছে বিচার। চ্যাঞ্চলকর এই মামলার রায়ের আদেশ নিয়ে নানা মহলে চলছে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া। গতকাল মঙ্গলবার গাইবান্ধার নারি ও শিশু ট্রাইবুনাল-১ এর বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ কে.এম শহিদ আহমেদ চার্জশিট ভূক্ত ১০ জন আসামিকে খালাশ দিয়ে রায় প্রকাশ করেন। এতে রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী ছিলেন গুলশান নাহার মুনমুন এবং আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন গাইবান্ধা বারের সাধারন সম্পাদক এ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বাবু। খালাশপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- শুভর আপন চাচা আব্দুর রাজ্জাক সরকার, রিপন কুমার সাহা, কবির হোসেন, হারুন মিয়া, মোস্তাফিজার রহমান, মাজেদুল ইসলাম রবিন, সুমন মিয়া, লাবলু মিয়া, মৃণাল চন্দ্র ও মিলটন খন্দকার। ২০১৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর পৌর সভার বালাপাড়া নিজ বাড়ির উঠান থেকে সুকৌশলে শিশু শুভ মিয়াকে অপহরণ করে নিয়ে যায় তার আপন চাচা আব্দুর রাজ্জাক সরকারের নেতৃত্বে কবির মিয়া। পরে কবির মোবাইল ফোনে শিশুর পিতার নিকট ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে শিশুটিকে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়। পরে শিশু শুভর পিতা আশেক আলী বিষয়টি থানা পুলিশকে আবগত করলে, পুলিশ ৯ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করেন। আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে অপহরণকারি কবিরের স্বাীকারউক্তি মোতাবেক গত ১০ সেপ্টেম্বর বিকালে বালাপাড়া ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন ডোবা থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়। মামলা তদন্তকারি কর্মকর্তা তৎকালিন পুলিশ পরিদর্শক জিন্নাত আলী ১০ জন আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে মামলার চার্জশিট দাখিল করে। শুভর পিতা আশেক আলী জানান, তিনি ন্যায় বিচার পাননি। সে কারনে তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করবে।
আসামি পক্ষের আইনজীবী এ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বাবু জানান, রায়টি অত্যন্ত যুগোপযোগি। কারন অনেকে অপরাধ না করে সাজা ভোগ করছে। এ রায়ে তা হয়নি। রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী গুলশান নাহার মুনমুন জানান, রায়ে বাদীপক্ষ ন্যায় বিচার পায়নি। সে কারনে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।