শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩, ০৯:০০ পূর্বাহ্ন
সুন্দরগঞ্জে প্রতিনিধিঃ সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তিস্তার চরাঞ্চলের ছিঁটা বা পাতা পেঁয়াজ এখন বাজারে। গ্রাহকের অনেকটা চাহিদা মেটাতে সক্ষম হচ্ছে পাতা পেঁয়াজ। মরা তিস্তার চরাঞ্চল এখন পেঁয়াজ চাষাবাদের জন্য অপার সম্ভবনা। অভিজ্ঞ মহল মনে করেন চরাঞ্চলে পেঁয়াজ চাষাবাদের প্রকল্প তৈরি করে আগাম জাতের পেঁয়াজ বাজারজাত করা সম্ভব।
ঠিক যে মুহুর্তে গোটা দেশে পেঁয়াজের দ্বিগুন দাম এবং সংকট সেই মুহুর্তে উপজেলার বিভিন্ন বাজারে দেখা দিয়েছে চরাঞ্চলের ছিঁটা পেঁয়াজ। যা সাধারণ গ্রাহকদের অনেকটা চাহিদা মেটাচ্ছে। কথা হয় উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের মাদারিপাড়া গ্রামের কৃষক আনছার আলীর সাথে। প্রতিবছর ২ হতে ৩ বিঘা জমিতে তিনি ছিঁটা পেঁয়াজের আগাম চাষাবাদ করে থাকেন। এত বেশি দাম পাবেন তিনি কখনও আশা করেননি। বর্তমান বাজারে তিনি প্রতি কেজি পাতা পেঁয়াজ ৫০ হতে ৬০ টাকা দরে বিক্রি করছে। তিনি মনে করেন আগামী ১০ হতে ১৫ দিনের মধ্যে তিস্তার চরাঞ্চলের পাতা পেঁয়াজ উপজেলার সাধারণ গ্রাহকের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে। তিনি আরও বলেন, গত বছরের তুলনায় পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ৮ হতে ১০গুণ, যা সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে। সরেজমিন উপজেলার তারাপুর, বেলকা হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তার বিভিন্ন চরাঞ্চল ঘুরে ফিরে দেখা গেছে ছিঁটা পেঁয়াজের চাষাবাদ। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে চরাঞ্চলে ২০০ হেক্টর জমিতে ছিঁটা পেঁয়াজের চাষাবাদ হয়েছে। তবে এর পরিমাণ আরও বেশি হবে। সুন্দরগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী হামিদুল ইসলাম জানান, গত এক সপ্তাহ হতে চরের ছিঁটা পেঁয়াজ বাজারের আসতে শুরু করেছে। বর্তমানে খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৫০ হতে ৬০ টাকা। তবে এলসি ও দেশি বিক্রি হচ্ছে ৭০ হতে ৮০ টাকা দরে। ছিঁটা পেঁয়াজ অনেটা চাহিদা পূরণ করছে। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সৈয়দ রেজা-ই মাহমুদ জানান, চরাঞ্চলে বর্তমানে বিভিন্ন ফসল চাষাবাদ হচ্ছে। এরমধ্যে ছিঁটা বা পাতা পেঁয়াজ রয়েছে। চরের মাটি ছিঁটা পেঁয়াজ চাষাবাদের জন্য অনেক উপযোগি। গ্রাহকদের চাহিদা মেটাতে অনেকা সহায়ক হিসাবে কাজ করবে ছিঁটা পেঁয়াজ।