সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩, ০৭:২৪ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ পড়ার ইচ্ছা থাকা সত্বেও দেখতে খেলতে পড়তে পাচ্ছে না। প্রতিনিয়ই সাধারণ ছেলে মেয়েদের মতোই চোখে দেখার স্বপ্ন দেখে তৃতীয় শ্রেনীতে পড়া মাহিন। সে শ্রীরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেনীর মেধাবি ছাত্র। জন্ম থেকে চোখের সমস্যা। সব কাজকর্মের তার নিত্যসঙ্গী চশমা। দিন গুনতে থাকে কবে লাগাবে চোখের লেন্স, লেন্স না লাগানো পযর্ন্ত পড়তে পারছে না ঠিকমতো। খেলতে পড়তে আর ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে চলে যায় সময় সেকেন্ড ঘন্টা। সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের পূর্ব শ্রীরামপুর গ্রামের দিনমজুর আতিয়ার রহমানের সাড়ে ৮ বছর বয়সের শিশু মাহিন এখন দুচোঁখের আলো হারাতে বসেছে। শিশুটি চোঁখ দিয়ে দেখার ভরসাই এখন চশমা। তার পরিবারের প্রধান আয়কর্তা ক্ষেটে খাওয়া দিনমজুর কষ্টের মধ্যেদিয়েও শিশুটির দৃষ্টি ফিরে পেতে চিকিৎসার জন্য পারি দিচ্ছেন রংপুর ও কুড়িগ্রাম মরিয়ম চক্ষু হাসপাতালে। পরীক্ষা-নিরিক্ষার পর চিকিৎসক জানান চোঁখ অপারেশন করাতে হবে অর্থাৎ দুটো লেন্স লাগাতে হবে তবে শিশুটির চোখে দৃষ্টি ফিরে আনা সম্ভব। এতে প্রায় ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকার প্রয়োজন। কিন্তু শিশুটির বাবা দিনমজুর হওয়ায় এই মোটা অংকের অর্থের ব্যবস্থা করা খুব কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। শিশুর বাবা মতিয়ার কান্নাকন্ঠে বলেন, অর্থাভাবে চিকিৎসার করাতে পারছি না ছেলেটি ছাত্র খুবই ভালো, ভালো রেজাল্ট করেছে ডাক্তার হতে চায় স্বপ্নযাত্রা নিভে যাবে এভাবে মেনে নিতে না পেরে মানুষের দাড়ে সাহায্যে চাচ্ছি। এ ব্যাপারে গাইবান্ধা-৩ আসনের এমপি এ্যাডঃ উম্মে কুলসুম স্মৃতি সাদল্লাপুর প্রতিনিধি এ্যাডঃ আনোয়ারুল আজীম বলেন, এমপির সাথে কথা বলেছি তিনি সর্বাত্মক সহযোগিতাসহ এবং ঢাকায় অপারেশন করালে চিকিৎসকের গাফলতির যাতে না হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখবেন। যদি কোন সহৃদয়বান ব্যক্তি শিশুটির অপারেশনের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতেন তাহলে হয়তো ছোট্ট শিশু মাহিন এই সুন্দর পৃথিবীর সবকিছু দেখতে পেত। সাহায্য পাঠাতে নাম্বারে ০১৩০৬৯৬৯০৯৫ (বিকাশ পার্সোনাল) যোগাযোগ করতে পারেন।