শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:৪৬ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ বাঁশের তৈরি পণ্য বাঙালির পুরোনো ঐতিহ্য। হাজার বছর ধরে গ্রাম-বাংলার মানুষ বাঁশের তৈরি পণ্য ব্যবহার করে। কিন্তু পুরনো এই ঐতিহ্য দিন দিন হারিয়ে যেতে বসেছে।
ভরা মৌসুমেও তৈরী পণ্য বিক্রি না হওয়ায় হতাশায় ভুগছে তারা। প্লাস্টিক, এলুমিনিয়ামের পন্য বাজার দখল করায়, সংসার চালাতে অন্য পেশায় ঝুঁকছেন এ পেশার অনেকে ।
বছরে দু’বার ধান কাটা মারাই মৌসুমে কিছু ব্যক্তি কয়েক দিনের জন্য বাঁশ দিয়ে গৃহস্থালি কাজের জন্য প্রয়োজনীয় কুলা, চাইলন,খোঁচা,ধামা(ঢাকি) তৈরী করে গ্রামে গ্রামে ও হাটে বাজারে বিক্রি করে। বেত দূর্লভ বাঁশের দাম বেশী। জাত পেশা ধরে রাখতেই লাভ কম হলেও তৈরি করছে তারা।
সাদুল্লাপুরের ধাপেরহাটের পালানপাড়া গ্রামের বাঁশ ও বেত শিল্পী রামানন্ত তরনী দাসের পুত্র শ্রী হসনন্ত তরনী দাস বলেন, আমাদের পাড়ায় ৫০ টির বেশী পরিবার এ পেশার সাথে জড়িত আছে। এছাড়া বাঁশ, বেত, শিল্পের সাথে জড়িত একাধিক শিল্পীরা জানা যায় যে, বাপ দাদার পেশা কেমনে ছাড়ি লাভ কম হলেও মৌসুম ভিত্তিক চাহিদা থাকায় গৃহস্থালি কিছু জিনিস তৈরি করি। আগে বাসা বাড়িতে সৌখিন আসবাস পত্র হিসাবে চেয়ার, টেবিল, শোকেজ, মোড়া, আলনা, বাশঁ ও বেত দিয়ে তৈরি হতো। গত কয়েক বছরে ধরে তার স্থলে সেখানে বাজার দখল করেছে প্লাস্টিকের তৈরী পণ্য।
ধাপেরহাট বনিক সমিতির সভাপতি আঃ জলিল জানান,
বাংলাদেশে এক সময়ে জনপ্রিয়, কদর ছিলো বাঁশ বেতের তৈরি গৃহস্থালি শিল্প কর্মের কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে এ শিল্প। পারিবারিক অর্থনৈতিক চাহিদা মেটাতে না পেয়ে বিভিন্ন পেশায় ঝুঁকছে এ শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্টরা। তাই রুগ্ন এই কুঠির শিল্পকে বাঁচাতে সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আশা উচিত।
সাদুল্লাপুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মানিক চন্দ্র রায় বলেন, এসব মানুষকে উপযুক্ত প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে। এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে সুদমুক্ত ঋণসহ উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।