সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:৩১ পূর্বাহ্ন
সাদুল্লাপুর প্রতিনিধিঃ সাদুল্লাপুর উপজেলার বুজরুক জামালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল হাই। একটি হত্যা মামলার আসামি হয়ে তিন বছর ধরে পলাতক রয়েছে। তবুও ওই শিক্ষকের বেতন-ভাতাদি উত্তোলন করে চলেছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম (মৌলভী)। তার এই ভেল্কিবাজী কারসাজিতে একাধিক দপ্তরের অভিযোগ দাখিল করা হলেও নিরবে রয়েছে সংশ্লিরা। এমন অভিযোগ স্থানীয়দের।
সরেজমিনে রোববার দুপুরে ওই বিদ্যালয় এলাকায় দেখা যায় স্থানীয়দের মধ্যে থম থম উত্তেজনা। সহকারী শিক্ষক আব্দুল হাই প্রতিষ্ঠানে তিন বছর ধরে অনুপস্থিত থেকেও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম তাকে উপস্থিত দেখিয়ে কেন বেতন ভাতা তুলছেন, এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এই দুর্নীতির আশ্রয় নেওয়ায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকরে অপসারণের দাবি জানায় এলাকাবসী।
জানা যায়, জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে গত ২০১৯ সনের ১২ ডিসেম্বর রাতে সাদুল্লাপুর উপজেলার চিকনী গ্রামের এমদাদুল হকের স্ত্রী মমিনা বেগমকে সহকারী শিক্ষক ও চাঁদ করিম গ্রামের আব্দুল হাই সহ তার লোকজন হত্যা করে। এ মামলায় প্রধান আসামি হয়ে তখন থেকে আব্দুল হাই পলাতক রয়েছে।
এদিকে, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম সংশ্লিষ্টদের যোগসাজসে আব্দুল হাইকে হাজিরা খাতায় ও বিলসিটে স্বাক্ষর দেখিয়ে তার নামের বেতন-ভাতা উত্তোলন করে চলেছে।
অপরদিকে, সহাকরী শিক্ষক আব্দুল হাই প্রায় তিন বছর ধরে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকায় পাঠদান কার্যক্রম মারাত্নকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এ নিয়ে অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও স্থানীদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ বিষয়ে অন্যান্য শিক্ষক-কর্মচারিরা ইউএনও বরাবরে অভিযোগ দাখিল করে।
এ বিষয়ে বুজরুক জামালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম জানান, বিদ্যমান পরিস্থিতে সম্প্রতি সহকারী শিক্ষক আব্দুল হাইকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়াসহ তাকে সাময়িক বরাখাস্ত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছাঃ রোকসানা বেগমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।