বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩, ০৭:০৪ পূর্বাহ্ন
সাদুল্লাপুর প্রতিনিধিঃ সাদুল্লাপুর উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে শাক-সবজির দাম। অস্বাভাবিক ভাবে দাম বেড়ে যাওয়ায় বেকায়দায় পড়ছে স্বল্প আয়ের মানুষেরা।
সরেজমিনে গতকাল রোববার সাদুল্লাপুর শহরসহ বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে শাক-সবজির আকাশচুম্বি দাম। এমন দামের কারণে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে বাকবিত-াও লক্ষ্য করা গেছে।
গতকাল প্রতিকেজি বেগুন ৪৫-৫০ টাকা, সিম ৪০ টাকা, ফুলকপি ৩০ টাকা, আলু ১৫ টাকা, টমেটো ৩৫-৪০ টাকা, গাজর ২০ টাকা, ক্ষিরা ৪০ টাকা, মূলা ২০ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, করলা ১০০-১২০ টাকা, মিস্টি কুমড়া ২০ টাকা, বাধা কপি ১৫ টাকা, লাউ ৫০-৮০ টাকা (প্রতি পিস প্রকার ভেদে), ধনিয়া পাতা ১০০ টাকা, লাল শাক ৬০ টাকা, পালং শাক ৬০ টাকা, লাফা শাক ৭০ টাকা, সরিষা শাক ৬০ টাকা কেজি দামে বিক্রি হচ্ছে। কয়েকদিন আগের তুলনায় প্রতিটি শাক-সবজিতে কেজিতে ৪-১০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। অথচ গত বছরে শীতকালীন সবজির দাম ছিল এর অর্ধেকে। বিভিন্ন নিত্যপণ্যের পাশাপাশি এসব সবজির দাম বৃদ্ধি পাওয়া সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা নাগালের বাইরে চলে গেছে। এতে করে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে ক্রেতা সাধারণেরা।
সাদুল্লাপুর বাজারে সবজি কিনতে রেজাউল করিম লুৎফর বলেন, কয়েক দিন আগে শাক-সবজির দাম কমই ছিল। বর্তমানে অতিরিক্ত দামে কিনতে হচ্ছে। এতে করে স্বল্প আয়ের মানুষেরা শাক-সবজি ক্রয়ে হিমসিম খাচ্ছে।
খুচরা সবজি ব্যবসায়ী লাল মিয়া জানান, আড়ৎ থেকে বেশী দামে কিনতে হচ্ছে। এ কারণে ক্রেতাদের কাছে কিছুটা বেশী দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এ নিয়ে ক্রেতারা বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছে।
কৃষক জয়নাল আবেদীন জানান, দুই বিঘা জমিতে নানা প্রকার সবজি আবাদ করছেন। হঠাৎ করে গত তিন দিন ধরে অব্যাহত রয়েছে বৃষ্টি। এতে ফসল উৎপাদন কমেছে।
সাদুল্লাপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মতিউল আলম জানান, কয়েকদিনে টানা বৃষ্টিতে কিছু সংখ্যক সবজি ক্ষেতে পানি জমেছে। যাতে করে ফসলের ক্ষতি না হয় সেবিষয়ে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া উৎপাদন কমে যাওয়ায় শাক-সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে।