সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:৫৩ অপরাহ্ন
সাদুল্লাপুর প্রতিনিধিঃ সাদুল্লাপুর উপজেলার মমিনুল ইসলাম মমিন (২৪) নামের এক যুবক শ^শুর বাড়ি থেকে স্ত্রী সোমা আক্তার (১৯) কে আনতে গিয়ে আজও ফিরে আসেনি বাড়িতে। এ ঘটনার ১৫ দিন অতিবাহীত হলেও সন্ধান মেলেনি তার। এদিকে ছেলেকে ফিরে পেতে দিশেহারা হয়ে পড়ছে বাবা-মা। সরেজমিনে গতকাল শুক্রবার দুপুরে উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের জয়েনপুর গ্রামে দেখা যায় নিখোঁজ মমিনের সন্ধানে হাউমাউ করে কাঁদছে আজগর আলী ও মমতা বেগম। তাদের বুকের ধন ফিরে পেতে অশ্রুজলে অস্থির হয়ে ওঠেছেন এই দম্পতি।
নিখোঁজের স্বজনরা জানান, প্রায় এক বছর আগে গাইবান্ধা সদর উপজেলার কোমরপুর (গুচ্ছগ্রাম) গ্রামের হারুন মিয়ার মেয়ে সোমা আক্তারের সঙ্গে মমিনের বিয়ে হয়। এর কিছুদিন পর থেকে বেপরোয়া চলাফেরা শুরু করে সোমা। এনিয়ে শাসন করা হলেও প্রায়ই বাবার বাড়িতে গিয়ে অবস্থান করতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১০ জুলাই সোমা আক্তার বেড়াতে যাওয়া কথা বলে বাবার বাড়িতে যায়। পরবর্তী গত ১৩ জুলাই মমিনুল তার স্ত্রীকে আনার জন্য শ^শুর বাড়ি যান। এরপর বাড়িতে ফিরে না আসায় মমিনুলের মোবাইল ফোনে তার বাবা-মা কল দিলে ফোনটি বন্ধ পায়। বাধ্য হয়ে গত ২২ জুলাই সকালের দিকে বাবা আজগর আলী কোমরপুর গুচ্ছগ্রামের সোমার বাবার বাড়ি যায়। সেখানে সোমাসহ তার বাবা-মা আজগর আলীকে অকথ্য ভাষায় গালাগালিসহ নানা ধরণের হুমকি দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়।
এ তথ্য নিশ্চিত করে ভুক্তভোগি আজগর আলী কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, সোমা ও তার বাবা-মা আমার ছেলের বড় ধরণের ক্ষতি করার লক্ষ্যে তাকে গুম করে রেখেছে। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও মমিনুলের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। এ নিয়ে সদর থানায় একটি অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।