রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩, ০৩:২২ অপরাহ্ন
সাদুল্লাপুর প্রতিনিধিঃ সাদল্লাপুর উপজেলায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছে এক কলেজছাত্রী। তিন দিন ধরে তার অনশন অব্যাহত রয়েছে। তবে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে প্রতারক প্রেমিক শুভ সাহা।
সরেজমিনে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের তাহেরপুর (সাহাপাড়া) গ্রামে দেখা যায় ওই ছাত্রীর অনশনের চিত্র। এসময় প্রেমিকের বাড়ির লোকজন তাকে নানাভাবে মানসিক নির্যাতন করছিল। জানা যায়, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার মীরগঞ্জ বাজার (বামনজ্বল) এলাকার ওই মেয়ে ২ বছর আগে রংপুর সরকারি কলেজে একাদ্বশ শ্রেণিতে অধ্যায়নরত ছিল। একই কলেজ ও শ্রেণিতে সাদুল্লাপুর উপজেলার তাহেরপুর (সাহাপাড়া) গ্রামের দুলাল সাহার ছেলে শুভ সাহা লেখাপড়া করতো। এ সুবাদে দুজনের মধ্যে পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে প্রেম-ভালোবাসায় জড়িয়ে পড়ে তারা। এরই মধ্যে প্রেমিক শুভ সাহা বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ওই ছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। তবে প্রেমিক শুভ সাহা কথা দিয়েছিল এইচএসসি পাশ করার পরই দুজনের বিয়ে হবে। পরীক্ষার সদ্য ফলাফলে দুজনেই উর্ত্তীর্ণ হয়। এরপর বিয়ের জন্য চাপ দেয় ছাত্রীটি। কিন্ত নানা টালবাহনা করতে থাকে সুচতুর প্রেমিক শুভ সাহা। বাধ্য হয়ে গত রোববার সকালে শুভ সাহার বাড়িতে ছুটে আসে। সেখানে বিয়ের দাবিতে দুইদিন ধরে অবস্থান করতে থাকে। এমন সময় বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় প্রেমিক শুভ সাহা। এরপর গত সোমবার রাতে শালিস দরবার বসে শুভ সাহার বাড়িতে। এসময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু পিতৃহারা ছাত্রীর মা ছাড়া নিজস্ব লোকজন না থাকায় সুযোগ নেয় সমাজপতিরা। শুভকে দিয়ে বিয়ে হবে না মর্মে একক সিদ্ধান্ত নেয় তারা। এরপর মেয়েটিকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার জন্য গতকাল মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত মানসিক নির্যাতন করতে থাকে।
অনশনকারী কলেজছত্রী বলেন, আমার সহজ সরলতার সুযোগে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শুভ সাহা আমার সব শেষ করে দিয়েছে। শুভ এখন বাড়ি থেকে পালিয়েছে। তার বাড়ির লোকজন গালিগালাজসহ বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার পায়তারা করছে। হয় বিয়ে, না হয় আত্নহত্যা ছাড়া এখন আমার আর কোনো পথ নেই।
ফরিদপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নবনির্বাচিত সদস্য ফিরোজ কবির জানান, বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে বসা হয়েছিল। কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি। মেয়েটি এখনো অনশন চালিয়ে যাচ্ছে।
সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার রায় জানান, বিষয়টি লোকমুখে শুনেছি। তবে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।