শনিবার, ১০ জুন ২০২৩, ০৯:৩৯ অপরাহ্ন
সাদুল্লাপুর প্রতিনিধিঃ প্রতি বছরের চৈত্র-বৈশাখে সাদুল্লাপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বসে বান্নী মেলা। করোনা পরিস্থিতে গত দুই বছর মেলাগুলো বন্ধ থাকলেও, এ বছরে ফের বসতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে মেলাকে ঘিরে প্রকাশ্যে চলছে জমজমাট জুয়ার আসর। এ আসরেই ফতুর হচ্ছে মানুষেরা। ফতুর হওয়া এই মানুষগুলো এখন জড়িয়ে পড়ছে নানা অপরাধ কা-ে।
সম্প্রতি সাদুল্লাপুর উপজেলার কামারপাড়া, জামালপুর, ফরিদপুর, ইদিলপুর ও ধাপেরহাট ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে দেখা গেছে জুয়া খেলার চিত্র। প্রকাশ্যে এই খেলায় মেতে লাখ লাখ টাকা হারিয়ে অনেকে সর্বশান্ত হয়ে পথে বসতে শুরু করেছে। কেউবা বেছে নিচ্ছে অপরাধমূলক কর্মকা-।
জানা যায়, পেশাদার জুয়ারীরা বান্নীতে তাদের জুয়ার আসর বসানোর জন্য কতিপয় প্রভাবশালী ও দায়িত্বশীলদের সঙ্গে আতাঁত করে নির্বিকারে চালিয়ে যাচ্ছে জুয়ার আসর। তারা মেলার মধ্যে জুয়া না বসিয়ে ভিন্ন কৌশলে বসাচ্ছে ঝোপ-ঝাড়, নদী-পুকুর পার ও বসতবাড়ীতে।
ইতোমধ্যে পুরাণলক্ষীপুর, কল্যাণপুর, এনায়েতপুর, মাদারহাট, মোলং বাজার, পীরেরহাটসহ আরও বেশ কিছু স্থানে বান্নী মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এই মেলাগুলোতে ছয়গুটির জুয়াসহ নানা ধরনের জুয়া খেলা চলে। এতে শিশু-যুবক ও নানা বয়সের কতিপয় মানুষ তাদের লাখ লাখ টাকা হারাতে হয়েছে। ফলে জুয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মাঝে অশান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। কেউ কেউ জুয়ার নেশায় আসক্ত হয়ে অসামাজিক কার্যকলাপে যুক্ত হচ্ছেন বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক জুয়ারী বলেন, এ বছরে অনুষ্ঠিত হওয়া বান্নী মেলাতে জুয়া খেলতে গিয়ে ৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকা হারিয়েছি। এসব টাকা গরু-ছাগল বিক্রি ও স্থানীয় দাদনের কাছ থেকে নেয়া হয়। এখন এ ক্ষতিতে সংসারে নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।
বান্নী এলাকার খাদেম আলী নামের এক বাসিন্দা জানান, এই জুয়া বন্ধে উপজেলা প্রশাসনসহ থানা পুলিশকে জানানো হয়। কিন্তু তারা কোনরূপ কর্ণপাত করেনি। তাদের এই রহস্যজনক ভূমিকার কারনে যেখানে-সেখানে অবাধে জুয়া খেলা চলছে। যেনো দেখার কেউ নেই।
সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার রায় বলেন, জুয়া বিরোধী অভিযানে ইতোমধ্যে বান্নী মেলা থেকে বেশ কিছু জুয়ারী আটক করা হয়। একই সঙ্গে জুয়ার সরঞ্জামও ধব্বংস করা হয়েছে। এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান ওসি।