শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৩০ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম
গাইবান্ধায় আমন কাটার পরই আলু চাষে ব্যস্ত চাষিরা ১৫ বছরে বদলে যাওয়া উপজেলার নাম গোবিন্দগঞ্জ গাইবান্ধার পাঁচটি আসনের তিনটিতেই আওয়ামী লীগের নারী প্রার্থী গাইবান্ধা ২ সদর আসনে স্বামী স্ত্রীর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দাখিল গাইবান্ধায় কালো পতাকা মিছিল সমাবেশ গাইবান্ধার ৫টি আসনে ৫২ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল স্ত্রীর লাশ ফেলে পালিয়ে যাওয়া স্বামীর প্রাণ গেল ট্রেনে ১৬ বছর সংসারের পর স্ত্রীর সাথে বিচ্ছেদঃ ২০ কেজি দুধ দিয়ে গোসল করেছেন স্বামী হৃদরোগের চিকিৎসায় ইউজিসির গবেষণা সহায়তার অনুমোদন পেয়েছেন ডঃ হযরত আলী সুন্দরগঞ্জে বিজয় দিবসের প্রস্তুতিমুলক সভা অনুষ্ঠিত

সাদুল্লাপুরে দত্তক দেয়া শিশুকে ফিরে দিলেন পুলিশ

সাদুল্লাপুরে দত্তক দেয়া শিশুকে ফিরে দিলেন পুলিশ

ষ্টাফ রিপোর্টাররঃ অভাব-অনাটনের তাড়নায় নিজের শিশুকে দত্তক দিয়েছেন ছিনা বেগম। দারিদ্রতার হানি নিয়ে নিজের চায়ের দোকানে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করলেও কোলজুড়ে আসে ফুটফুটে একটি ছেলে সন্তান। কিন্তু অভাবের কারণে এই নবজাতক শিশুকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন মা ছিনা বেগম। তাই চিন্তামুক্ত থাকতে সুমন মিয়াকে কষ্টের তাড়নায় নিজের সন্তানকে দত্তক দেয়। পরবর্তীতে বিষয়টি জানা জানি হলে নজরে আসে মানবিক পুলিশ সুপার মোঃ কামাল হোসেনের। গত সোমবার সন্ধ্যার দিকে সাদুল্লাপুর থানা পুলিশের মাধ্যমে দত্তক দেওয়া শিশুকে উদ্ধার করে মা ছিনা বেগমের কোলে তুলে দেন। এ তথ্য নিশ্চিত করে সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব আলম রানা জানান, সাদুল্লাপুর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের মাছপাড়ার ছিনা বেগমের সঙ্গে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার নতুন দুলাল গ্রামের লোকমান হোসেনের বিয়ে হয়।
অভাবের সংসারে তিনি স্বামীর বাড়িতে নিজে চায়ের দোকান করে সংসার চালান। তিনি স্বামীর চতুর্থ স্ত্রী বলে জানা যায়। অভাবের কারনে সংসার চালানি খুবই কষ্টকর । যেখানে নিজেদের সংসার টান টান তারেই মধ্যে ছিনা বেগম একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেয়। কিন্তু অভাবের কারণে এই নবজাতককে নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন তিনি। তাই চিন্তামুক্ত থাকতে গাইবান্ধা সদরের পুলবন্দী এলাকার এন্তাজ আলীর ছেলে নিঃসন্তান (মামাতো ভাই) সুমন মিয়াকে দত্তক দেয় নিজের সন্তানকে । এরই মধ্যে এই ঘটনাটি গাইবান্ধা পুলিশ সুপার মোঃ কামাল হোসেনের নজরে আসে এবং তার নির্দেশে সাদুল্লাপুর থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) গোফফার মিয়া সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে পুলবন্দী থেকে ১ মাস ২ দিন বয়সী ওই শিশুকে উদ্ধার করে তার মা ছিনা বেগমের কোলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। সংসার স্বাবলম্বি ও শিশুটির পুষ্টিকর খাবারের জন্য পুলিশ সুপার মোঃ কামাল হোসেন এর পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা করা হয়।
সন্তানকে ফিরে পেয়ে আনন্দে কেঁদে ফেলেন ছিনা বেগম। তিনি বলেন, অভাবের সংসারে ছেলেটা জন্ম নিল। নিজের খাওয়ারই ভালো জোটে না ছ্যোলোক ক্যামনে খিলামো তাই পোষানি (দত্তক) দিছিনু। স্যারেরা হামার ছ্যোলোক আনি দিলো,হামার ছ্যোলও পাইছি স্যার কিছু ট্যাকাও দিছে স্যারের জন্য দোয়া করি।

 

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com