বুধবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ০৫:৩২ পূর্বাহ্ন
সাদুল্লাপুর প্রতিনিধিঃ সাদুল্লাপুর উপজেলার রাবেয়া বেগম (২৬) নামের এক প্রসূতি মা একই সঙ্গে ৩ টি কন্যা সন্তান জন্ম দিয়েছে। দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেওয়া এসব জমজ শিশুদের চিকিৎসা ও খাদ্যের টাকা সংগ্রহ করতে দুশ্চিন্তাায় পড়েছেন মা। সরেজমিনে গত বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের বদলাগাড়ী (সোনারপাড়া) গ্রামে দেখা যায়, প্রসূতি মা রাবেয়া বেগম তার নবজাতক শিশুদের পাশে বসে সেবা-যতেœর চেষ্টা করছিলেন। জানা যায়, ওই রাবেয়া বেগমের স্বামী রিয়াজুল ইসলাম রাজার বসত ভিটা ছাড়া অন্য কোন সম্পদ নেই। রাজা মিয়া তার স্ত্রীকে বাড়িতে রেখে জীবিকার তাগিদে কুষ্টিয়া জেলার একটি পোষাক কারখানায় চাকুরি করেন। এ চাকুরির বেতনের টাকা দিয়ে কোনোমতে সংসার চালিয়ে আসছিলেন রাজা মিয়া। এমতাবস্থায় দেশের করোনা পরিস্থিতিতে বন্ধ হয় রাজা মিয়ার বেতন-ভাতা। এতে থমকে যায় স্ত্রী-সন্তাানের জীবনযাত্রা। এরই মধ্যে রাবেয়া বেগমের প্রসব সময় ঘনিয়ে আসলে গত ২২ এপ্রিল গাইবান্ধার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। সেখানে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে একই সঙ্গে তিনটি কন্যা সন্তান জন্ম হয়। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রায় ৩০ হাজার টাকা খরচ করা হয়। ধার-দেনা করে এ টাকা যোগান দিতে হয়েছে রাজা মিয়াকে। এরপর নবজাতক শিশুদের দিতে হচ্ছে বাড়তি খাবার। প্রতিদিন প্রায় ৫০০ টাকার পুষ্টিখাবার দিতে হচ্ছে শিশুদের। বর্তমানে শিশুদের খাদ্যেও টাকা যোগাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে রাজা মিয়া ও তার স্ত্রীকে। ফলে যমজ তিন শিশুদের বাঁচাতে দুশ্চিনতায় রয়েছে রাবেয়া ও রাজা মিয়া। এ বিষয়ে রাবেয়া বেগম বলেন, সন্তানের বাবা রয়েছে কুষ্টিয়া কর্মস্থলে। সন্তান প্রসবকালীন সময়ে অনেক টাকা ঋণ করতে হয়েছে। এখন আর হাতে কোন টাকা নেই। নবজাতকদের ঠিকভাবে চিকিৎসা ও খাদ্য দিতে পারছি না। যমজ শিশুদের বাঁচাতে দুশ্চিন্তায় পড়েছি। বনগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য আজাহার আলী জানান, ওই পরিবারের বিষয়টি জানা ছিল না। দেখা যাক কিছু করা যায় কিনা।