শনিবার, ২৮ মে ২০২২, ০৭:২৭ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ সারাদেশের ন্যায় ষষ্ঠ ধাপের ইউপি নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হয়েছে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে। উপজেলায় প্রথমবারের মতো ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট প্রদান নিয়ে ভোটারদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। নতুন এই পদ্ধতিতে ভোট প্রদানে অভিজ্ঞতার অভাবে সময় লাগছে ভোটারদের। এর ফলে কেন্দ্র গুলোতে দীর্ঘ সময় ধরে ভোটারদের লাইনে দাড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে
ভোটারদের ইভিএম মেশিনে ভোট প্রদানের পদ্ধতি বুঝাতে গিয়ে সময় লাগছে ভোট গ্রহণের ক্ষেত্রে। এর ফলে প্রভাব পরছে ভোট গ্রহন প্রক্রিয়ায়। লাইনে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছে ভোটারদের। বিশেষ করে নারী ভোটারদের ভোগান্তি বেশি লক্ষ্য করা গেছে।
অপরদিকে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট প্রদানের পর স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ভোটাররা। লাইনে সময় লাগলেও ভোট দিতে কোন অসুবিধা হয়নি বলে জানিয়েছেন ভোটাররা।
৩১ জানুয়ারি সোমবার সাদুল্লাপুর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের রসুলপুর, নলডাঙ্গা, দামোদরপুর, ফরিদপুর, ধাপেরহাট, ভাতগ্রাম, ইদিলপুর ও খোর্দ্দ কোমরপুর একাধিক ভোটকেন্দ্র ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
নলডাঙ্গা ইউনিয়নের মানদুয়ার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় সেই কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ২৪৪৫ জন হলেও দুপুর ৩টা পর্যন্ত প্রায় ১৫৪৫ ভোট গ্রহণ হয়েছে। কক্ষের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা ভোটারদের লাইন দীর্ঘ হলেও ভোট প্রদানের সময় লাগছে জন্য কিছুটা দেরি হচ্ছে বলে জানান কেন্দ্রটির দ্বায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং অফিসার।
ভোট গ্রহণের দ্বায়িত্বে থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার বলেন, ভোটারদের ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট প্রদানের ব্যাপারে ধারণা না থাকায় প্রায় সবাইকে বুঝিয়ে দিতে হচ্ছে। এজন্য প্রায় দ্বিগুণ সময় বেশি লাগছে।
প্রতাব সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ২ ঘন্টা ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা আব্দুল মালেক জানান, কখনও এই মেশিন চোখে দেখিনি। কিভাবে ভোট দিবো জানিনা। ভেতরে যাই দেখি কি হয়। তবে শুনেছি ঝামেলা হয়না ভোট দিতে।
কাগজে চেয়ে হামার মেশিনে ভালো।
প্রায় ঘন্টা খানিক লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে ভোট দিয়ে আসা জরিনা বেগম জানান, প্রথমে ভয় লাগছিলো, কোথায় ভোট দেই আর কোথায় যায় এটা নিয়ে চিন্তায় ছিলাম। এখন দেখছি ভালোভাবেই ভোট দেয়া যায়।
অপরদিকে এই পদ্ধতিতে কিছু অভিযোগ তুলেছেন ভোটাররা। প্রতাব সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ইভিএম মেশিনে আঙ্গুলের ছাপ না মেলায় ভোট না দিয়েই ফিরে যেতে হয় কয়েকজনকে তিনি বলেন, ব্যালটে ভোট হলে এমন সমস্যা হতোনা। আমি আমার আইডি কার্ড সংশোধনের আবেদন করেছি। তারপরও আমি কেন ভোট দিতে পারবোনা।
সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসহ বিজিবি, পুলিশ, ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা ভোট কেন্দ্রগুলোতে কাজ করেন।