সোমবার, ২৯ মে ২০২৩, ০২:৩৪ পূর্বাহ্ন
সাঘাটা প্রতিনিধিঃ সাঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০০৮ সালের ১ জুলাই ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই থেকে বেহাল দশায় রয়েছে।
সরেজমিনে জানা যায়,সাঘাটা উপজেলায় প্রায় তিন লাখ মানুষের স্বাস্থ্য সেবার জন্য একটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ ৩২টি কমিউনিটি ক্লিনিক, ১০টি স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র থাকলেও তাতে স্বাস্থ্য সেবা বলতে কিছুই নেই। ভরসা বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতাল। সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রয়োজনীয় জনবল,পযাপ্ত ওষুধ না থাকা, আসবাবপএ, এক্সরেমেশিন,অ্যাম্বুলেন্স, বিদ্যুৎ,পানিসহ নানাবিধ সমস্যার কারণে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে। নদীভাঙ্গন ও অভাবি এলাকা হওয়ায় এখানে রোগীর সংখ্যা বেশি । এতে করে ডাক্তার ও নার্সদের দায়িত্ব পালন করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। চিকিৎসারত রোগি পারভীন জানান, সামান্য ওষুধপাতি হাসপাতাল থেকে দেয়। বাকিগুলো বাজার থেকে কিনতে হয় এবং বিভিন্ন পরিক্ষার কথা বলে এতে আমাদের অনেক টাকা লাগে। ক্লিনিক ও ইউনিয়ন পরিবার কেন্দ্রগুলোতে প্রশাসনিক পদক্ষেপ না থাকায় এখন করুন দশা বিরাজ করছে। চিকৎসকরা নিয়মিত না আসায়, মা ও শিশুরা স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ফলে দরিদ্র রোগীরা চিকিৎসাসেবা নিতে এসে দুর্ভোগের শিকার হয়ে ফেরত যাচ্ছেন। ধনাঢ্য রোগিরা বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিলেও দরিদ্র রোগিরা অর্থাভাবে চিকিৎসা সেবা নিতে না পেরে নানা রোগে কাতরাচ্ছেন । অভিযোগ উঠেছে, ক্লিনিকে বিভিন্ন পরিক্ষার নামে মোটা অংকের অর্থ লুটে নিচ্ছেন তারা। বর্তমানে সরকারি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানে সেবা নেই বল্লেই চলে। সেবা না পেয়ে ক্লিনিক ও বেসরকারী হাসপাতালে রোগীদের ভর্তি করানো হচ্ছে। স্থানীয় সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন রানা জানান, ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করণ করা হলে। সকল লোকজন সেবা পাবে।
এ ব্যাপারে সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ মোঃ আরিফুজ্জামান বলেন, হাসপাতালে সঠিক নিয়োমে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়ে থাকে। ১৯ জন চিকিৎসকের পোষ্ট এখানে বর্তমানে ১১জন চিকিৎসক কর্মরত আছেন।