শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:৪২ অপরাহ্ন
নুর হোসেন রেইন সাঘাটা থেকেঃ সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে অলি-গলি পর্যন্ত দাপিয়ে বেড়াচ্ছে মরণ যান ট্রাক্টর (কাঁকড়া)। প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা, প্রতি মুহূর্তে আতঙ্কে থাকে স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের বাবা-মা। প্রাণ যাচ্ছে নিরীহ অসহায় মানুষের। আর পকেট ভারি করছে প্রভাবশালী ও অসাধু ব্যক্তিরা। প্রতিবাদ করলেই বিভিন্ন হুমকি।
প্রতিদিন কাক ডাকা ভোর হতে গভীর রাত পর্যন্ত গ্রাম থেকে শুরু করে উপজেলা সদরের ব্যস্ততম সকল সড়কে সবখানে এই যন্ত্রদানব অবৈধ ট্রাক্টর (কাঁকড়া) সগৌরবে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। চালকের লাইসেন্স তো দূরের কথা চালানোর নেই কোনো অভিজ্ঞতা। ছোট ছোট ছেলেদের দিয়ে চালানো হচ্ছে এসব কাঁকড়া নামক ট্রাক্টর। আইন অমান্য করে তথা কথিত এসব কাঁকড়া চলাচলের ফলে একদিকে যেমন জীবন হারাচ্ছে পথচারী সেই সাথে নষ্ট হচ্ছে সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত রাস্তাঘাট। এ যেন রামরাজত্ব, প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করে থাকেন।
ট্রাক্টর-ট্রলি সড়কে চলাচলের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও এ যন্ত্রদানবের চালকরা তা মানছেই না। দ্রতগতির ফলে সড়কগুলোতে প্রতিদিন দুর্ঘটনা লেগেই রয়েছে।
সাধারন মানুষ অভিযোগ করে বলেন, প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো ফল হয়নি। বরং প্রভাব শালীদের হুমকিতে প্রশাসনকে ও চুপসে যেতে হয়েছে। প্রভাবশালীরা বীরদর্পে আগের চেয়ে বহু গুণে এসব মরণ যান সড়কে নামিয়ে মাটি বালি তুলে মাটির শ্রেণি পরিবর্তন করে চলেছে। মাটি হারাচ্ছে ফসল ফলানোর ক্ষমতা। জমির পাশ দিয়ে বালি মাটি বহনের ফলে ধুলা মাটি উড়ে পড়ছে ফসলের ওপর। ফলে জমির ফলন ব্যাপকহারে হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যমুনা নদী থেকে ড্রেজাার মেশিন দিয়ে বালু অবৈধ ভাবে উঠিয়ে জমা করে তা কাকরা দিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে দুর্ঘটনার শিকার একাধিক মোটর সাইকেল আরোহী জানান, প্রতিদিন এসব কাঁকড়া জমি থেকে মাটি নিয়ে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যাওয়ায় কিছু মাটি রাস্তায় পরে যায়, ঘন কুয়াশায় রাস্তায় পরে থাকা মাটিগুলো খুবই পিচ্ছিল হয়ে থাকে ফলে প্রতিদিন অসংখ্য মোটর সাইকেল চালক দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে এবং ইতিমধ্যে অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করেছে।
আইন অমান্য করে মরনযান এসব কাঁকড়া রাস্তায় চলাচল করলেও অদ্যাবধি অদৃশ্য কারনে প্রশাসন আইনগত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না বলে অভিযোগ করেছেন এলাকার সচেতন নাগরিকগণ।
সচেতনমহল মনে করছেন এখনই যদি এ যন্ত্রদানবকে থামানো না যায় তাহলে মৃত্যুর মিছিল এবং লোকের সারি আরো অনেক বড় হবে। সন্তান হারাবে তাদের পিতা-মাতা। আর পিতা মাতা হারাবে তাদের আদরের সন্তানদের। মেধাবী শিক্ষার্থী হারা হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শোকের মিছিলে পরিণত হবে সড়ক। সেই সাথে সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে রাস্তা গুলো হবে চলাচলে অযোগ্য।