সোমবার, ২৯ মে ২০২৩, ০১:২৩ পূর্বাহ্ন
সাঘাটা প্রতিনিধিঃ সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার যমুনা নদীর ভাঙ্গন রোধে বন্যা নিয়ন্ত্রন বেড়ী বাধে লাগানো বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। স্থানীয় লোকজন সড়ক নির্মানের অজুহাত দেখিয়ে কর্তন করছেন। এতে করে সরকার কোটি টাকার রাজস্ব হারিয়েছেন বলে অভিঙ্গ মহল ধারনা করছেন।
জানা যায়, সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী ইউনিয়নের কুকড়া হাট গ্রাম থেকে কাতলামারী হয়ে ফুলছড়ির বালাসী ফেরিঘাট পর্যন্ত। কয়েক বছর পূর্বে যমুনা নদীর ভাঙ্গন রোধকল্পে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রায় ১৬ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রন বেড়ী বাধ নির্মান করে। বেড়ী বাধটি গেল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায়। নতুন করে প্রস্তত করনসহ বাধটি নির্মান করা হচ্ছে। এতে বাধের পাশে থাকা প্রায় এক হাজার বিভিন্ন প্রজাতির গাছ যার আনুমানিক মূল্যে প্রায় এক কোটি টাকা। সরকারী ভাবে এসব গাছ টেন্ডার না দিয়ে বুলড্রেজার দিয়ে অপসারনসহ স্থানীয় লোকজনকে স্ব-স্ব বসতবাড়ী সংলগ্ন জায়গা থেকে গাছ কেটে সড়িয়ে নেওয়ার নির্দ্দেশ দিয়েছেন বলে কাতলামারী গ্রামের ইউনুছ আলী প্রতিবেদককে জানান। সরেজমিনে গতকাল বৃহস্পতিবার গিয়ে দেখা যায়, ফুলছড়ির গজারিয়া ইউনিয়নের কাতলামারী গ্রামের ইউনুছ আলী, মজিরন বেগম, বাকি মিয়া সহ অনেকে কাঠাল গাছ এবং ইউকেলেটাস গাছ কর্তন করছেন। মজিরন বলেন, কাঠাল গাছ কেটে ৩ হাজার টাকায় বিক্রয় করে দিয়েছি। এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে,ফুলছড়ির কাতলামারী গ্রামের রফিকুল ইসলামসহ কয়েকজন ব্যাক্তি বাধ সংলগ্ন এলাকা এবং রতন পুর যমুনা নদী থেকে ড্রেজার মেশিনে বালু উত্তোলন করে বিক্রয় করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।এতে করে বাধ হুমকির মুখে পড়েছে বলে স্থানীয় লোকজন জানান।