শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:৫৮ পূর্বাহ্ন
সাঘাটা প্রতিনিধিঃ যমুনা নদীর অব্যহৃত পানি বৃদ্ধির ফলে সাঘাটা উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানি বন্ধি। তীব্র ভাঙ্গনে হলদিয়া ইউনিয়নের ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নদী গর্ভে বিলীন। হুমকীর মূখে ২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্যার্ত মানুষের জন্য সরকারি কোন ত্রান সহায়তা নেই বলে জানালেন জনপ্রতিনিধিরা। গত কয়েক দিন প্রবল বর্ষন ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে সাঘাটা উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে প্রায় ৫শ পরিবার নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে বসত ভিটা হারিয়ে অন্যত্রে গিয়ে মানবেতর জীবন জাপন করছে। ৫টি ইউনিয়নের পানি বন্ধি হয়ে পড়েছে প্রায় ২০ হাজার পরিবার। পানি বন্ধি মানুষের মধ্যে বিশুদ্ধ পানি, গোখাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। এছাড়াও অনেক পরিবারের মধ্যে খাদ্য সংকটও দেখা দিয়েছে। উপজেলা হলদিয়া ইউনিয়নে দক্ষিন দিঘল কান্দি, উত্তর দিঘলকান্দি , গাড়ামারা, পাতিলবাড়ী, সিপিগাড়ামারা মৌজায় ৩ থেকে ৪শ পরিবার নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। পানি বন্ধি হয়ে পরেছে প্রায় ৭ হাজার পরিবার। জুমারবাড়ী ইউনিয়নে ৫হাজার পরিবার পানি বন্ধী, ঘুড়িদহ ইউনিয়নে ২ হাজার, সাঘাটা ইউনিয়নে পানি বন্ধী ৪হাজার ও ২শ পরিবার নদী গর্ভে বিলীন এবং ভাঙ্গনের হুমকীর মূখে মুন্সির হাট, গোবিন্দী ও বাশ হাটা, ভরতখালী ইউনিয়নের ২শ পরিবার নদী গর্ভে বিলীন ও ২হাজার পানি বন্ধী মানুষ সহ উপজেলায় মোট ২০ হাজার মানুষ পানি বন্ধী হয়ে পড়েছে। এসব এলাকার শত শত একর জমির আমন ফসল, বিজতলা, শাকসবজি পানিতে তলিয়ে গেছে। হতাশা গ্রস্থ হয়ে পড়েছে পানি বন্ধী মানুষ। এ ব্যাপারে হলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী প্রধান জানান, আমার ইউনিয়নের মানুষের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। এসব মানুষেরা চরম দূর্ভোগে জীবন যাপন করছে।