মঙ্গলবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:৪৬ অপরাহ্ন
ভ্রামমান প্রতিনিধিঃ সাঘাটায় সুইচগেট খুলে দেয়ায় পানি নিষ্কাশন হওয়ায় ১০০ হেক্টর জমির আমন চারা পচনের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। জলাবদ্ধতার বিষয়ে মৌখিকভাবে সমিতির পক্ষ থেকে সাঘাটা উপজেলা প্রকৌশলীকে বলা হয়, তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে সংস্কারের বিষয়ে ব্যবস্থা করবেন বলে জানান।
জানা যায়, সাঘাটা উপজেলার ঘুড়িদহ ইউনিয়নের সুজালপুরে দীর্ঘ ৫ বছর বন্ধ থাকা, সুইচগেটের পাটাতন খুলে দেয়ায় সাড়ে ৭ কিলোমিটার নালায় জমে থাকা আবর্জনা ও পানি নিষ্কাশন হওয়ায় ১০০ হেক্টর জমির সদ্য রোপণকৃত চারা বৃষ্টির পানি নিমজ্জিত হওয়ায় আমন চাড়া নষ্টের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। কৃষকরা মনেই করেছিল এসব জমিতে আর আমন ধান চাষ হবে না । কারণ সুইচগেটের রেগুলেটর দীর্ঘ দিন ধরে নষ্ট তা সংস্কার হচ্ছে না। এবারে বড় বন্যা না থাকায় যে যেখানে একটু জমি পেয়েছে, সেখানে আমন ধান চাষ করেছিলেন। হঠাৎ কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে ধানের চারা পানিতে নিমজ্জিত হয়। পঁচা বস্তা, তেনাছিড়া পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির উদ্যোগে শ্রমিক দ্বারা সুইচগেট রেগুলেটর খুলে পাটাতন সরিয়ে জমানো পানি পূর্ব পাশে বের করে দেয়া হয়। এতে শতাধীক কৃষকের চলতি মৌসুমে লাগানো আমন ধানের চারা ব্যাপক ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসাদুল ইসলাম বলেন, নালায় জমানো পানির বিষয়ে সমিতির পক্ষ থেকে সাঘাটা উপজেলা প্রকৌশলীকে বলা হলে তিনি কোনো কর্ণপাত করেননি। আমরা কৃষকের ক্ষতির কথা চিন্তা করে শ্রমিক দিয়ে নালা পরিষ্কার করে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা করেছি। ঘুড়িদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সেলিম আহমেদ তুলিপ বলেন, সরেজমিনে তদন্ত করে রেগুলেটর মেরামত করা হলে আবাদি জমি বন্যা ও বৃষ্টির হাত থেকে রক্ষা পাবে। সাঘাটা উপজেলা প্রকৌশলী নয়ন কুমার রায় বলেন, জলাবদ্ধতার বিষয়ে মৌখিকভাবে সমিতির পক্ষ থেকে বলেছিলেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে সংস্কারের বিষয়ে ব্যবস্থা করব। সাঘাটা উপজেলা কৃষি অফিসার সাদেকুজ্জামান বলেন, এবারে সুইসগেট খুলে দেয়ায় ১০০ হেক্টর জমির পানি নিষ্কাশন হওয়ায়, আমন চাষ সম্ভব হয়েছে।