শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:১২ পূর্বাহ্ন
ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধিঃ বিভিন্ন কোম্পানির প্লাস্টিকের কদর বাড়ায় কালের আবর্তে ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী বাঁশের তৈরি কুটির শিল্প। প্রয়োজনীয় পুঁজির অভাবে সাঘাটায় এ শিল্পের কারিগরদের মাঝে নেমে এসেছে দুর্দিন। করোনা সংকটের কারণে বিক্রি না থাকায় বিপাকে পড়েছেন তারা।
জানা গেছে, সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী ইউনিয়নে চাটাই পাড়া নামে একটি গ্রাম গড়ে তোলেন। সেই সময় বাঁশের মূল্যে কম হওয়ায় ওই স্থানে বসবাসরত ৩০ পরিবার বাঁশ শিল্পের সাথে জড়িত ছিলেন । কালের আবতের্, প্লাস্টিকের কদর বাড়ায় এবং বাঁশের মূল্যে বৃদ্ধি পাওয়ায় । অনেকেই এ পেশা ছেড়ে, অন্য পেষায় নিয়োজিত হয়েছেন। বর্তমানে ২০ পরিবার এ কাজে রয়েছেন। এ ছাড়া ঘুড়িদহ ইউনিয়নে সরকার পাড়া গ্রামে একজন কারিগর কাজ করেন। এখন তারা করোনা সংকটের কারণে বেচা-বিক্রি না থাকায় বিপাকে পড়েছেন। পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টে আছেন। এক সময় গ্রামীণ বাজারে বাঁশের তৈরি পণ্যের বেশ চাহিদা থাকলেও বর্তমানে প্লাস্টিক পণ্যের কারণে কুটির শিল্পের পণ্য বিক্রি কমে যাওয়ায়, লোকশানের মুখে পড়ছেন তারা। সরকারিভাবে তদারকি এবং সুযোগ সুবিধা পেলে আবার ফিরে আসবে সুর্দিন। বৃদ্ধি পাবে গ্রামবাংলার প্রাচীন ঐতিহ্য বাঁশের তৈরি কুটির শিল্পের কাজ। এমনটাই মনে করেন স্থানীয় এলাকাবাসী। এখানকার নারী-পুরুষ তাদের নিপুণ হাতে চাটাই, কুলা, ডালা, ঝুড়ি, ঢাকনা, চালনি, পালা ইত্যাদি পণ্য তৈরি করে থাকেন। উপজেলার ঘুড়িদহ ইউনিয়নের সরকার পাড়া গ্রামের এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত ভোলা চন্দ্র দাস বলেন, করোনা সংকটের কারণে বেচা বিক্রি নেই,আগে একটি বাঁশ কিনতে হতো ৫০ থেকে ১০০ টাকা দরে। আর এখন প্রতিটি বাঁশ কিনতে হচ্ছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকায়।