শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:২৬ পূর্বাহ্ন
সাঘাটা প্রতিনিধিঃ সাঘাটা উপজেলার শ্যামপুর গ্রামে ১৯৯৪ সালে মনোরম পরিবেশে নাসির উদ্দিন প্রধান দাখিল মাদ্রাসাটি স্থাপিত হয়। প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই মেধাবী শিক্ষক দ্বারা মাদ্রাসাটি পরিচালিত হয়ে আসছিল। সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার নুরুন্নবী উক্ত মাদ্রাসায় ২০০৭ইং সালে কাজী মাহফুজুল হান্নানকে সুপার হিসেবে মৌখিক ভাবে দায়িত্ব প্রদান করেন। দায়িত্ব পাবার পর থেকেই সুপার কাজী মাহফুজুল হান্নান ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির সিদ্ধান্ত ছাড়াই মনগড়া ভাবে উৎকোচের বিনিময়ে ১১ জন শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ দেয়। এছাড়াও তিনি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই চাকুরীরত দু’জন শিক্ষকের বিপরীতে অপর দু’জন শিক্ষককে নিয়োগ দেন। টাকা প্রদানকারী ব্যক্তিরা চাকুরী না পেয়ে সুপারের কাছে টাকা ফেরত চাইলে সুপার গা ঢাঁকা দেয়। গত ২০/০৫/২০২০ইং তারিখে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে মাদ্রাসার এমপিও ভূক্ত সংক্রান্ত জরুরী সভায় উল্লেখিত সুপার উপস্থিত হয় নি। মোবাইল ফোনেও তাঁকে পাওয়া যায় নি। টাকা প্রদানকারী ব্যক্তিরা চাকুরী না পেয়ে বাধ্য হয়ে সুপারের বিরুদ্ধে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। চাকুরী দেওয়ার নামে টাকা গ্রহণ সহ নানা দূর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হলে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি গত ০৪/০৫/২০২০ইং তারিখে উক্ত সুপারকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেন।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার নুর নবী প্রধানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, সুপারের বিরুদ্ধে উক্ত অভিযোগ পাওয়ার পর তিনি টাকা নেওয়ার কথা জানতে পেরেছেন এবং অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় সুপারকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
সাঘাটা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আহসান হাবীবের সাথে কথা হলে তিনি জানান, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে যেসব শিক্ষক মাদ্রাসায় কর্মরত আছেন তাদেরকে বাদ দেওয়ার কোন সুযোগ নেই। তবে সুপারের টাকা আত্মসাতের ব্যাপারে তিনি অবগত নন বলে জানান।
এ ব্যাপারে সুপার কাজী মাহফুজুল হান্নান জানান, সভাপতির বিনা অনুমতিতে কোন শিক্ষক নিয়োগ করা হয় নি। শিক্ষক নিয়োগে উৎকোচ নেওয়ার ঘটনাটি সত্য নহে।