মঙ্গলবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:২৮ অপরাহ্ন
সাঘাটা প্রতিনিধিঃ বন্যায় ভেঙে পড়েছে ব্রিজ-কালভার্ট। ভেঙে-চুরে ক্ষত হয়ে আছে কাঁচা-পাকা রাস্তা। পানির চাপে ভেঙে যাওয়া সড়ক ও ব্রিজ-কালভার্ট গুলোতে অস্থায়ী ভাবে তৈরি করা সাঁকো গুলোও নড়বড়ে হয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এভাবেই বন্যার ক্ষত হয়ে আছে। গ্রামীন চলাচলের রাস্তাঘাট এমন হওয়ায় চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন মানুষ।
এবার দির্ঘস্থায়ী বন্যায় উপজেলার কচুয়া ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের গুজিয়া সড়কে একটি গ্রামীণ অবকাঠামোর কালভার্ট সম্পুর্ণ রুপে ভেঙে গেছে। বিগত দুই বছর আগেই দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের গ্রামীণ রাস্তা প্রকল্পের আওতায় ২১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় কালভার্টটি। এপাড় ওপারে ২টি গ্রামের কয়েক শ’ পরিবারের চলাচল বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। কচুয়া গ্রামের বাসিন্দা হাসিবর রহমান জানান, বানের পানিত ব্রিজটা ভাঙে গেচে। একনও সাঁকো বানে (তৈরি) করে দিলো না কেও। আমনে তাও এই জায়গাত দেকপের আচ্চেন। আর কেও তো খবরও নেয় না বাহে। এই এলাকা ইউনিয়নটির পশ্চিমে ভিতরে হওয়ায় কষ্টের খবর কেউ নেয় না বলে জানান, ওই এলাকার বাবলু মিয়া। একই ভাবে কামালেরপাড়া ইউনিয়নের কাঠালতলি নামক স্থানে প্রায় ২৫ ফুট পাকা সড়ক ও হলদিয়া ইউনিয়নে গোবিন্দপুর দাখিল মাদ্রাসা রাস্তার ৫০ফুট, নলছিয়া হতে জুমারবাড়ী পাকা রাস্তায় ২০ফুট, মন্ডলপাড়া হতে আমদিরপাড়া ওয়াপদা বাঁধ পর্যন্ত দুটি স্থানে ৩০ ফুট ও হলদিয়া হতে গোবিন্দপুর স্কুল পর্যন্ত কয়েকটি স্থানে সড়ক ভেঙে গেছে। হলদিয়া এলাকার বাসিন্দা আবদুল বাতেন জানান, ভাল রাস্তা গুলো বন্যার পানিতে ভেঙে যাওয়ায় যাতায়াত করা খুব কষ্ট হচ্ছে লোকজনের। এদিকে বিগত বছর উপজেলার বোনারপাড়া-গোবিন্দগঞ্জ সড়কটির ওপর নির্মিত তিনটি ও বোনারপাড়া-ভুতমারা সড়কের রেল গেইট এলাকায় একটি সেতু ভেঙে ভেসে যায়। সাঘাটা-গাইবান্ধা আন্চলিক মহাসড়কের ভরতখালী পোড়াবাড়ী নামক স্থানে প্রায় ২০০ ফুট, বোনারপাড়া-মহিমাগঞ্জ সড়কের দুইটি স্থানে, বোনারপাড়া-ভরতখালী সড়কের একটি স্থানে ও হলদিয়া এলাকায় বেশ কয়েকটি স্থানে সড়ক ভেঙে যায়। এসব ভেঙে যাওয়া ও ব্রিজ-কালভার্ট গুলো ঠিক করা হয়নি। তার উপর আবার এবারের বন্যায় আবারও নতুন করে সমস্যা যোগ হয়েছে। ভাঙা ব্রিজ-কালভার্ট ও সড়ক গুলোর স্থানে বাঁশ ও কাঠের সাঁকো তৈরি করে কোনোমতে যাতায়াত চলছে।
এ ব্যাপারে কথা হলে উপজেলা প্রকৌশলী মো. ছাবিউল ইসলাম জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ব্রিজ কালভার্টের এলাকা সার্ভে হয়েছে। বরাদ্দ আসলেই কাজ শুরু করা হবে।