সোমবার, ০৫ জুন ২০২৩, ০৬:২০ পূর্বাহ্ন
সাঘাটা প্রতিনিধিঃ সাঘাটা উপজেলার একমাত্র ঐতিহ্যবাহী ভরতখালী গো-হাটটি এখন পানির নিচে। প্রতি বছর গো-হাট থেকে সরকারের কোটি কোটি টাকার রাজস্ব আয় হলেও গো-হাটের কোন উন্নয়ন হয় নি।
উপজেলার মুক্তিনগর ইউনিয়নের হাট ভরতখালী নামক স্থানে গো-হাটটি অবস্থিত। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গরু ব্যাবসায়ীরা গরু, ছাগল কেনাবেচার জন্য এই হাটে আসেন। গুরুত্বপূর্ণ এই গো-হাটটির জায়গা মাটি ভরাট না থাকায় এবং হাটের পূর্ব পার্শ্বে বেরি বাঁধ না থাকায় যমুনার পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে উক্ত গো-হাটিতে বন্যার পানি ঢুকে ৪/৫ ফুট পানির নিচে থাকে। এমতাবস্থায় হাট-ইজারাদারেরা নিরুপায় হয়ে রাস্তার পার্শ্বে গো-হাট লাগায়। এতে করে একদিকে ক্রেতা বিক্রেতাদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় অন্যদিকে উক্ত রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী যানবাহন গুলো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে থাকে। ফলে যে কোন মূহুর্তে দূর্ঘটনা ঘটার আশংকা রয়েছে।
বগুড়া জেলার গাবতলী উপজেলার বিশিষ্ট গরু ব্যবসায়ী সামিম জানান, দীর্ঘ ১৫/২০ বছর যাবৎ আমি এই ভরতখালী গো-হাটে গরু কেনাবেচা করে আসছি। প্রতি বছরই বন্যার সময় গো-হাটের জায়গাটি তলিয়ে যাওয়ায় আমাদের গরু কেনাবেচা করতে যেমন বিপাকে পড়তে হয় অন্যদিকে অর্থনৈতিক ভাবে লোকসানেও পড়তে হয়।
সাবেক ইউপি সদস্য মাহাবুর রহমান জানান, প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা সরকারের রাজস্ব আয় হলেও ঐতিহ্যবাহী ভরতখালী গো-হাটটির কোন উন্নয়ন হয় নি।
হাট-ইজারাদার আলহাজ্জ মোহাম্মদ আলী জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে প্রায় ৪ মাস গো-হাটের গরু ছাগল কেনাবেচা বন্ধ ছিল। এখন আবার হাটের জায়গাটি বন্যায় তলিয়ে যাওয়ায় গরু-ছাগল কেনাবেচা প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। হাটের পূর্ব পাশ দিয়ে বেরি বাঁধ সহ গো-হাটের জায়গাটি মাটি ভরাট করে উঁচু করে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানাই।