শনিবার, ১০ জুন ২০২৩, ০৭:৩৭ অপরাহ্ন
সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ গত তিন দিন থেকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বত্রই শৈত্য প্রবাহ শুরু হয়েছে। প্রচন্ড শীতে কাপছে সুন্দরগঞ্জ বাসী। গরম কাপড়ের দোকানে উপছে পড়া ভির লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পৌষ মাস শুরুর সাথে সাথেই শীত জেঁকে বসেছে। এতে সর্বত্র কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে। তাপমাত্রা নেমে আসার পাশাপাশি প্রচন্ড হিমেল হাওয়ায় স্থবির হয়ে পড়েছে এলাকার সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের জীবনযাত্রা। ঘন কুয়াশার সাথে হিমেল হাওয়া যুক্ত হয়ে জনজীবন নাকাল করে তুলেছে। গত তিন দিন থেকে সূর্যের দেখা মিলছে না। প্রচন্ড ঠান্ডা ও ঘন কুয়াশার কারনে খেটে খাওয়া মানুষ বিশেষ করে ভ্যান-রিক্সা শ্রমিক ও কৃষক-কৃষানীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কনকনে ঠান্ডায় বৃদ্ধ ও শিশুদের মাঝে ডায়রিয়াসহ ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন ধরনের রোগ দেখা দেয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। শীতকালিন ফসল সরিষা, গম, আলু, বেগুন, পিয়াজ, মরিচ ও বোরো ধানের বীজতলায় শীত রোগ আক্রমণের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে এ উপজেলার নদী বিধৌত ৭ ইউনিয়নের চরাঞ্চলের জনগণ শীতের দাপটে কাবু হয়ে পড়েছে। অনেকেই রান্নার চুলায় অথবা খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করছে। সরকারি ভাবে বরাদ্দকৃত কম্বল চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নুরুন্নবী সরকার জানান ৯ হাজার ৩৯০ টি কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে এবং তা বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সোলেমান আলী জানান, বরাদ্দ প্রাপ্ত কম্বল গুলো বিতরণের জন্য ইউপি চেয়ারম্যানদের কে দেয়া হয়েছে। আরো বরাদ্দের জন্য চাহিদা পত্র পাঠানো হয়েছে।