সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৬:২৪ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধায় শীতে সবজীর ভাল দাম পাবার আশায় উৎপাদনে ঝুকছেন সবজী চাষীরা। ইতোমধ্যে কেউ করছেন জমি প্রস্তুত, আবার কেউ কেউ ফসলক্ষেত পরিচর্যায় আছেন। অনেকে শীতের আগাম সবজি বিক্রিও শুরু করছেন।
গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জানিয়েছে, চলতি শীত মৌসুমে জেলার ৭ উপজেলায় লক্ষমাত্রা জমিতে শাক-সবজি চাষের জন্য নির্ধারণ করা হয়। এরই মধ্যে প্রায় ১ হাজার হেক্টর অর্জিত হয়েছে। কৃষকদের আগ্রহ অনুযায়ী আগামী মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের দিকে এই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জানা যায়, গেল মৌসুম থেকে শাক-সবজির দামবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। চলতি শীতের শাক-সবজির দাম আরও আকাশচুম্বি। তাই কাঁচা তরকারির দাম বেশি থাকায় এসব চাষাবাদে কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে অনেকটাই। তারা ইতোমধ্যে মরিচ, শষা, টমেটো, সিম, কপি, মূলা, লাউ, বেগুন, পালং শাক, লাল শাকসহ আরও বিভিন্ন ধরণের সবজি চাষাবাদ শুরু করছেন। এরই মধ্যে কিছু সংখ্যক কৃষক তাদের উৎপাদিত সবজি বিক্রিও করছেন। তবে এ বছরে বীজ-চারা, সার-কিটনাশক ও অন্যান্য কৃষি উপকরণ সরকারি ভাবে প্রণোদনা দিলেও তা চাহিদানুরুপ না হওয়ায় চাষাবাদে হিমসিম খাচ্ছেন কৃষকরা। তবুও লাভের আশায় শীতকালীন শাক-সবজি চাষে মাঠে ঘাম ঝড়াচ্ছেন তারা।
গাইবান্ধা সদর উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের মালর্চিং পদ্ধতিতে সবজী কৃষানী জাহানারা খাতুন বলেন, ইতিমধ্যে ৫৬ শতাংশ জমিতে মরিচ, শষা, টমেটো ও সিম আবাদ করেছি। আর কিছুদিন পরে ফসল বিক্রি করা যেতে পারে। এতে যা খরচ হয়েছে দাম ভালো থাকলে খরচ বাদে পর্যাপ্ত টাকা লাভ থাকবে।সবজী চাষী জোলেখা বেগম জানান -উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোছাঃ রওশন আরা বেগম প্রণোদনা দেওয়াসহ নিত্যদিন মাঠ পর্যায়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করে পরামর্শ ও বিভিন্ন সহযোগিতা করে আসছেন। তাইতো আমিসহ এলাকার অনেকেই সবজি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে ।