সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩, ০৪:০৮ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ করোনার টিকা নিতে গাইবান্ধা জেলা সিভিল সার্জন কার্যলয়ের সম্মেলন কক্ষের অস্থায়ী টিকা কেন্দ্রে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। চরম বিশৃঙ্খলায় এসময় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়।
সরেজমিনে গতকাল বৃহস্পতিবার টিকাদান কেন্দ্রে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীরা টিকা নেওয়ার জন্য কেন্দ্রে আসেন। সেখানে কোন সামাজিক দূরত্ব মানা হয়নি।টিকা নিতে শিক্ষার্থীরা গাদাগাদি করে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষায় লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে অনেক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে যায়। কারও মুখে মাস্ক নেই।এতে টিকা নিতে এসে করোনায় সংক্রমিত হয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এদিকে টিকা কেন্দ্রটি গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালের প্রধান ফটকের পার্শ্বে হওয়ায় দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট ।এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ।
অভিভাবক ও সচেতন মহল দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, টিকা নিতে আসা শিক্ষার্থীদের মাঝে করোনা ঝুঁকির শঙ্কা রয়েছে তার সাথে কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনায় টিকা নিতে সময় লাগছে । লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে দীর্ঘ সময়। একজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন একই সঙ্গে এত বিশাল সংখ্যক শিক্ষার্থীদের মাত্র একটি কেন্দ্রে নিয়ে টিকা দানের সিদ্ধান্ত সঠিক হয়নি। এ অব্যবস্থাপনার কারণে করোনামুক্ত হওয়ার বদলে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। কর্তৃপক্ষ চাইলে আরও আগে থেকেই কেন্দ্র সংখ্যা বাড়িয়ে শিক্ষার্থীদের টিকা দানের পরিসর বাড়ানো যেত।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, এখানে লাইনে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে কোনো নিয়মের বালাই নেই। কেউ শারীরিক দূরত্ব মানছে না। সবাই গা ঘেঁষে দাঁড়াচ্ছে। এতে কারও করোনা হয়ে থাকলে অন্যদের মধ্যেও তা সংক্রমিত হবে। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া উচিত।
পরিস্থিতি সামাল দিতে গাইবান্ধা জেলা রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকরা টিকা কেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হ্যান্ড মাইকে নির্দেশনা দিলেও তা কোন কাজে আসছে না । এ বিষয়ে রেড ক্রিসেন্টের ইয়ূথ চীফ বিষনু রায় জানান আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি শিক্ষার্থীদের মাস্ক পড়ায় সতর্ক করতে। তবে শিক্ষার্থীরা মাস্ক পড়তে অনিহা প্রকাশ করছে।