রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩, ০২:৫৫ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ কথায় আছে, পান খেতে চুন লাগে। আর এই চুনের মধ্যে শামুক-ঝিনুকের খোলস পুড়িয়ে তৈরি চুনের কদর সবচেয়ে বেশি। এই চুনের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের ১৫-২০টি পরিবার। অভাব-অনটন থাকলেও তারা ছেড়ে দেয়নি বাপ-দাদার পেশা। এখনও তারা শামুক-ঝিনুকের তৈরি চুনের যোগান দিয়ে যাচ্ছে গাইবান্ধায় ।
গাইবান্ধা সদর উপজেলা রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের বালুয়া বাজার সংলগ্ন যুগী পাড়ায়। বংশ পরস্পরায় কয়েক দশক ধরে এই গ্রামের বাসিন্দারা শামুক-ঝিনুক পুড়িয়ে চুন তৈরির সাথে যুক্ত থাকায় এ গ্রামের নামই হয়ে গেছে যুগী পাড়া।
যুগীপাড়ার কারিগর বিপুল চন্দ্র বিশ^াস জানান, চুন তৈরির জন্য প্রধান উপকরণ শামুক-ঝিনুক। গাইবান্ধার নদ-নদী, খাল-বিল জলাশয়ে শামুক-ঝিনুকের উৎপাদন কমে গেছে। আর তাই এগুলো কিনে আনতে হয় পাশের দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাটসহ বিভিন্ন স্থান থেকে। এরপর তা ধুয়ে পরিস্কার করে প্রস্তুত করা হয় পুড়ানোর জন্য। গোল করা ভাটায় কাঠসহ বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে ভাটা তৈরি করে পুড়ানো হয় শামুক কিংবা ঝিনুক। এরপরই প্রক্রিয়াকরণ করে প্রস্তুত করা হয় খাবার চুন।
ওই গ্রামেরই আরেক কারিগর রেখা রানী বলেন, শামুক-ঝিনুকের খোল দিয়ে তৈরি গাইবান্ধার খাবার চুনের কদর আছে ক্রেতাদের কাছে। এখন এক মণ শামুক-ঝিমুক কিনতে হয় ৪০০ টাকায়। আর চুন তৈরি করে তা বিক্রি হয় মণ প্রতি ৮০০ টাকায়। তিনি আরো বলেন, চুন তৈরির কাঁচামালসহ উৎপাদন খরচ বাড়লেও এ থেকে তৈরি চুনের দাম বাড়েনি। ফলে লোকসানের মুখে পড়ে চুন তৈরির পেশা ছাড়ছেন এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত অনেকেই।