রবিবার, ০১ অক্টোবর ২০২৩, ১০:৩৪ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধা শহরের ফকিরপাড়া হযরত শাহ বাঙ্গাল (রঃ) হাফিজিয়া কওমী মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুল¬াহ ওই মাদ্রাসার এক ছাত্রকে বলাৎকার করেছে। এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে উল্টো তার বিরুদ্ধেই চাঁদাবাজির মামলা দেয়া হয়েছে। ওই ছাত্রের পিতা আবুল কালাম আজাদ গতকাল গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে দোষী ব্যক্তির শাস্তি ও প্রতিকার দাবি করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্যে উল্লে¬খ করেন, তার ছেলে জোনায়েদ আনাম ওই মাদ্রাসার কিতাব বিভাগে অধ্যয়নরত অবস্থায় গত বছরের ১২ আগস্ট রাতের বেলায় শিক্ষক আব্দুল¬াহ বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে বলাৎকার করে। পরে নির্যাতিত ছাত্র মাদ্রাসার সুপার ও কমিটির কয়েকজন সদস্যের কাছে নির্যাতক শিক্ষক আব্দুল¬াহর বিচার দাবি করে। কিন্তু দীর্ঘদিনেও বিচার না পেয়ে সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। বিষয়টি জানতে পেরে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ জুনায়েদ আনামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। তাকে মিথ্যা অভিযোগে অভিযুক্ত করে এবং শিক্ষকের বিরুদ্ধে তার অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে জোর করে একটি অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর নেয়। পরবর্তীতে নির্যাতক শিক্ষকের নির্দেশে তার বন্ধু মাওলানা ইলিয়াছ জুনায়েদ আনামকে শারীরিক নির্যাতন করে। ওই ছাত্রের বাম কানে থাপ্পর মারার কারণে সে গুরুতর আহত হয় ও সে কানে কম শুনতে পায়। এখনও তার চিকিৎসা চলছে। পরবর্তীতে এক শালিসে মাওলানা ইলিয়াস তাকে থাপ্পর মারার কথা স্বীকার করে। সেসময় কয়েকজন ছাত্র বৈঠকে ঘটনার সাক্ষী দিলে মাদ্রাসার সুপার জোবায়ের আহম্মেদ তাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাদেরকে জঙ্গি বানিয়ে মাদ্রাসা থেকে বের করে দেয়ার হুমকি দেয়।
এদিকে বলাৎকারের ঘটনা ধামাচাপা দিতে মিথ্যা, ভিত্তিহীন বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জোনায়েদ আনামের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করা হয় এবং তার কাছে গোপনে জামাতি টুপি জঙ্গিবাদী বই পুস্তক রেখে তাকে জঙ্গি প্রমাণের অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
এদিকে লিখিত বক্তব্যে আরও উল্লে¬খ করা হয়, তার ছেলের থানায় দেয়া অভিযোগ বলাৎকারকারী শিক্ষকসহ সুপার জোবায়ের আহম্মেদ সদর থানার অফিসার ইনচার্জকে ভুল বুঝিয়ে মামলা নিতে নিরুৎসাহিত করে। এজন্য তিনি বলাৎকারকারী শিক্ষক আব্দুল¬াহ, শিক্ষক জয়নাল আবেদীন, সুপার জোবায়ের আহম্মেদ এবং তাদের সহযোগী ইলিয়াসের বিরুদ্ধে আইনানুগ বিচার ও তার ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহারের দাবি জানান।