বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০২:৩১ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধায় বাণিজ্যিকভাবে ঔষধি ফসল হিসেবে দিন দিন সম্প্রসারিত হচ্ছে তুলসীর চাষ। কোনো প্রকার কীটনাশক ছাড়াই স্বল্প খরচে তুলসী চাষ করে লাভবান হচ্ছেন এখানকার চাষিরা।
পতিত জমিতে ভালো ফলন হওয়ায় দিনদিন তুলসী চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন কৃষকরা। এ ব্যাপারে কৃষকদের পরামর্শের পাশাপাশি প্রযোজনীয় সহায়তা দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।
উপজেলার মহাদিপুর ইউনিয়নের কৃষক সাজু মিয়া প্রথমে তার ৩৪ শতক জমিতে তুলসীর চাষ করেন। লাভবান হওয়ায় তিনি এবার তিন বিঘা জমিতে তুলসী লাগিয়েছেন।
সাজু মিয়া জানান, জৈব সার প্রয়োগ করে আর সামান্য নিড়ানি দিয়েই তুলসী উৎপাদনে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন তিনি।
প্রথমে এলাকার কৃষকরা তুলসী চাষ নিয়ে নানান কথা বললেও এখন সাজু মিয়ার সাফল্য দেখে সবাই তুলসী চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। অল্প খরচে স্বল্প সময়ে লাভবান হওয়ায় ইতমধ্যে এ উপজেলায় ব্যাপকভাবে তুলসীর চাষ বেড়েছে।
তারা বলেন, সাজুর সফলতা দেখেই আমরা উৎসাহিত হয়েছি। সফলতা পাওয়ার কারণে সে বারবার তুলসীই চাষ করছে। কৃষি বিভাগ জানায়, পলাশবাড়িতে সাজু মিয়ার দেখাদেখি ব্যাপকভাবে তুলসী চাষ হচ্ছে।
এ ব্যাপারে মাঠ পর্যায়ে তুলসী চাষীদের অনুপ্রেরনার পাশাপাশি ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে বলে জানান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ মাসুদুর রহমান।
জেলায় প্রতিবছর ২০০ হেক্টর জমিতে ঔষধি গাছের চাষ হয়, এর মধ্যে তুলসীর চাষ হয় অন্তত ৫০ হেক্টর জমিতে।