বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:৫৪ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ঘাঘট নদের ওপর ভেড়ামারা সেতুর নির্মাণকাজ চলছে ঢিমেতালে। কাজ শুরুর এক বছর এক মাস পেরিয়ে গেছে। দীর্ঘদিনে সেতুর মাত্র ৩৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। অথচ আর পাঁচ মাসের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা। দুই মাস ধরে সেতুর কাজ বন্ধ। এ অবস্থায় চার এলাকার কয়েক হাজার মানুষকে তিন কিলোমিটার ঘুরে জেলা শহরে যেতে হচ্ছে।
সদর উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্র জানায়, ভেড়ামারা সেতুটি গাইবান্ধা সদর উপজেলার খোলাহাটি ইউনিয়নে করা হচ্ছে। এ২০২০-২১ অর্থবছরে ঘাঘট নদের ওপর ৮১ মিটার দীর্ঘ এ সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়। এতে ব্যয় ধরা হয় ৭ কোটি ১৮ লাখ টাকা। সেতু নির্মাণের কাজ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্টার লাইট সার্ভিসেস লিমিটেড। ২০২১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি এমপি। চলতি বছরের ১৫ আগস্ট সেতুটির কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা।
১৩ মার্চ সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, সেতুর নির্মাণকাজ বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। দুই পাশে পিলার করা হয়েছে। পিলার ঘেঁষে বালু দিয়ে সংযোগ সড়ক করা হয়েছে উত্তর-দক্ষিণ পাশে। নদীর ভেতরের পিলারের কাজ শুরু হয়নি। এর পাশে কাঠের বিধ্বস্ত একটি সাঁকো।
নির্মাণাধীন সেতুর পাশে খোলাহাটি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী ইব্রাহিম খলিলের বাড়ি। তিনি বলেন, ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে সেতুর নির্মাণকাজ ধীরগতিতে চলছে। একে তো কাজ হচ্ছে ঢিলেতালে, তার ওপর দুই মাস ধরে কাজ বন্ধ। ফলে এলাকার মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
কিশামত বালুয়া গ্রামের বাসিন্দা আবদুল লতিফ বলেন, সেতুর পাশে স্বেচ্ছাশ্রমে কাঠের সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছিল এলাকার লোকজনের চলাচলের জন্য। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সেটি বিধ্বস্ত হয়েছে। ফলে এখন ভেড়ামারা, কিশামত বালুয়া, মোল্লাবাজার, কাজীরবাড়ি এলাকার মানুষকে তিন কিলোমিটার এলাকা ঘুরে জেলা শহরে যেতে হচ্ছে।
স্টার লাইট সার্ভিসেস লিমিটেডের মালিক ঠিকাদার তারেক চৌধুরী মুঠোফোনে বলেন, কার্যাদেশ পাওয়ার পর বন্যা আসে। শুরুর পর কাজ বন্ধ হয়নি। যথাসময়ে কাজ শেষ হবে। এ পর্যন্ত ৭০ ভাগ কাজ হয়েছে।
সদর উপজেলা প্রকৌশলী বলেন, এক বছরে কাজের অগ্রগতি বেশি হওয়ার কথা। কিন্তু হয়েছে মাত্র ৩৫ ভাগ। যথাসময়ে কাজ সম্পন্ন করতে ঠিকাদারকে বারবার তাগাদা দেওয়া হচ্ছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারলে তাঁর চুক্তি বাতিল করা হবে।