সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:৪৫ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ আষাঢ় বৃষ্টির মৌসুম হলেও শ্রাবণেও দেখা নেই বৃষ্টির, চাষের জমিতে ফাটল ধরেছে, দুশ্চিতার প্রহর গুনছেন গাইবান্ধার চাষিরা। উল্টো বাড়ছে তাপমাত্রা। বর্ষা মৌসুমেও বৃষ্টির দেখা না পেয়ে এ অঞ্চলের আমন চাষিরা জমিতে সেচ দিতে বাধ্য হচ্ছেন। এখনও বীজতলায় পড়ে রয়েছে আমন ধানের চারা। পরিমাণ মতো বৃষ্টির পানি না পাওয়ার জন্য আমন চাষে চরম সমস্যায় পড়েছেন তারা। অন্যদিকে জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ না হওয়ার উদ্বিগ্ন কৃষকসহ কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারাও।
গতকাল শুক্রবার গাইবান্ধা সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ফসলের মাঠ ঘুরে সদ্য রোপণ করা আমন ধানের চাষযোগ্য জমিতে সেচ দিচ্ছে কৃষকরা।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ধান ক্ষেতে পানি না থাকায় ক্ষেত ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। বাধ্য হয়ে কৃষকরা ক্ষেতে স্যালোমেশিন ও টিউবওয়েল দিয়ে পানি দিচ্ছেন।
বৃষ্টির অভাবে চারা রোপণ করতে দেরি হওয়ায় সদর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের কৃষক রিয়াজউদ্দিন বলেন, ফসলের ক্ষেত ফেটে চৌচির হওয়ায় জমির ফসল নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। শ্যালো মেশিন কিংবা বৈদ্যুতিক মোটর চালিয়ে রোপা আমন আবাদ উপযোগী নয়। কারণ তার বেশ কিছু জমি মাঠের মাঝখানে। বৃষ্টির পানিতে রোপা আমন চাষ ভালো হয়। কিন্তু পানির অভাবে অনেকে জমিতে আমন ধান লাগাতে পারছেন না।
কৃষক মোন্নাফ মিয়া আক্ষেপ করে বলেন, বৃষ্টির সময় খরা, আবার খরার সময় বৃষ্টি। আগে আষাঢ়-শ্রাবণে দিনের পর দিন বৃষ্টি হতো। এখন বর্ষাকাল চলে যাচ্ছে কিন্তু আশানুরুপ বৃষ্টির দেখা পাচ্ছি না। আমাদের মতো ক্ষুদ্র কৃষকের পক্ষে অতিরিক্ত টাকা খরচ করে আমন ধান চাষাবাদ করা কঠিন।
এমনি অবস্থায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। আমন ধান সম্পূর্ণ বৃষ্টি নির্ভর হওয়ায় সম্পূরক সেচ দিয়ে এ ধানের ফলন ভালো হবে না। ফলে ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
ভরা বর্ষাতেও বৃষ্টিপাত না হওয়ায় নদ-নদী, খাল-বিলের পানি শুকিয়ে গেছে। বর্ষার পানির ওপর নির্ভরশীল হয়ে যারা আমনের জমি আবাদ করেছেন তারা সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন। তারা কোথাও পানি পাচ্ছেন না।