সোমবার, ২৯ মে ২০২৩, ১২:৪৯ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধা শহরের উত্তর ধানঘড়া সরকারপাড়ায় অবস্থিত বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিষ্টিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আব্দুর রশিদ সরকারকে বেআইনীভাবে সভাপতি পদ থেকে বহিস্কার এবং নতুন কমিটি গঠন করে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালনা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া কমিটির প্রথম সহ-সভাপতি ও নির্বাহী সচিব ওই সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে বেআইনীভাবে জাহানারা বেগমকে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করে। ওই প্রধান শিক্ষকের যোগসাজসে উক্ত বিদ্যালয়ে নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে ২২ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাত করা হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
উল্লেখ্য, এব্যাপারে হাইকোর্টে গত ২৪ অক্টোবর রিট পিটিশন (নং ১০৪০৩/১৯) দায়ের করলে বিচারপতি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করেন। চলতি বছরের ২৪ নভেম্বরের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করলেও নির্দেশকে উপেক্ষা করে বহাল তবিয়তে উক্ত অবৈধ কমিটি ও প্রধান শিক্ষক যথারীতি দায়িত্ব পালন করছে।
এছাড়া বিদ্যালয়ের হারিয়ে যাওয়া কাগজপত্রের পরিবর্তে নতুন কাগজপত্র প্রস্তুতির অনুমোদনের জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবরে আবেদন করেন। আবেদনের কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় উক্ত প্রধান শিক্ষক জাহানারা বেগমসহ সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিচালক, উপ-পরিচালক গাইবান্ধা, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার, জেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাইবান্ধাকে বিবাদী করে হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করা হয়। যা সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, উপজেলা সমাজসেবা অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দিয়ে অবগত করেন।