বুধবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ০৫:১২ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার অ্যাডভোকেট মোঃ ফজলে রাব্বি মিয়া এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর নিয়ে যারা কথা বলছেন তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী নয় । মুক্তিযুদ্ধে তারা বিরোধিতা করেছিল । একাত্তুরের পরাজিত শক্তি ১৫ আগষ্ঠ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ পরিবারের সকল সদস্যকে হত্যা করে । তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বার বার হত্যার জন্য ষড়যন্ত্র করেছে, গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে । আজ এই মৌলবাদীরা বঙ্গবন্ধুর ভার্স্কয নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে । তিনি বলেন মুক্তিযোদ্ধারা বেচে থাকতে এই সব মৌলবাদের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মোকাবেলা করা হবে ।
তিনি বলেন- করোনা ভাইরাসকে কেন্দ্র করে একটা গভীর আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে ব্যর্থ করার চেষ্টা করা হয়েছিল । কিন্তু আবার তারা নতুন করে পায়তারা করছে। বঙ্গবন্ধুর ভাস্করকে মূর্তী আখ্যা দিয়ে মুসলমানের ধর্মীয় অনুভুতিকে তার্ াআঘাত দেয়ার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন – মুক্তিযুদ্ধের সকল শক্তি একত্রিত হয়ে ৭১ এর পরাজিত শক্তি দালাল, লুন্ঠনকারী ও ষড়যন্ত্রকারীদের বাংলার মাটি থেকে উৎখাত করতে হবে।
বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার দেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করায় স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি উন্নয়ন সহ্য করতে না পেরে তারা দেশে অস্থিতিশীল করতে বারবার নানা ধরণের ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু জনগণ তাদের কোন ষড়যন্ত্রে পা দেবে না।
তিনি গতকাল শুক্রবার সাঘাটা উপজেলার মুক্তিনগর ও বোনারপারা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স চত্বরে সাঘাটা উপজেলা হানাদার মুক্ত দিবসে এক মুক্তিযোদ্ধা জনতা সমাবেশে এ কথা বলেন। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ সাদেকুল ইসলাম, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালিন কমান্ডার শামছুল আলম, মুক্তিযোদ্ধা গৌতম চন্দ্র মোদক, মুক্তিযোদ্ধার সাবেক কমান্ডার গোলাম মোস্তফা, মুক্তিযোদ্ধা শাহাদৎ হোসেন, উপজেলা আওয়ামা লীগের সভাপতি নাজমুল হুদা দুদু, সাধারন সম্পাদক আবদুল হামিদ বাবু , যুব লীগের সাধারন সম্পাদক নাছিরুল আলম স্বপন প্রমুখ।
এ উপলক্ষে হানাদার মুক্ত দিবস ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে সাঘাটার মুক্তিনগরে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করা হয়। কর্মসূচীর মধ্যে ছিল শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি সৌধে পুষ্পমাল্য অর্পন, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা সংগঠন ও কালো পতাকা উত্তোলন, একাত্তুরের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ, দোয়া মাহফিল, কাঙ্গালী ভোজ ও আলোচনা সভা।
উল্লেখ্য সাঘাটা থানা হানাদার মুক্ত করার জন্য সম্মুখ যুদ্ধে একাত্তুরের ৪ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা ২২ জন হানাদার বাহিনীর সদস্যকে হত্যা করে। এসময় যুদ্ধে ৫ মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।