শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:৩১ অপরাহ্ন
পলাশবাড়ী প্রতিনিধিঃ পলাশবাড়ীতে বঙ্গবন্ধুর পদধূলি যে গ্রামে পড়েছে সেই গ্রামের মানুষের চলাচল করতে হচ্ছে বাঁশের সাকো দিয়ে। ২৫১টি ভোটারের চলাচলের পথ না থাকায় বাঁশের সাকোই বেঁছে নিয়েছে পথ চলার সম্ভব হিসেবে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, পলাশবাড়ী উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নের রাজনগর দক্ষিণপাড়া গ্রামে মৃত আঃ সোবহানের বাড়ীর সামনের রাস্তা হতে রাজা মন্ডলের শ্যালো মেশিনের পাড় পর্যন্ত আনুমানিক ৮০০ ফুট জায়গা একসময় সরকারী রেকর্ডভূক্ত রাস্তা ছিল। সেই রাস্তা দিয়ে প্রায় ২০০টি পরিবারের লোকজন চলাচল করতো। উক্ত রাস্তায় মৃত আঃ সোবহানের বাড়ীর সামনে রাস্তার দুই পাশের্^ পুকুর খনন করায় রাস্তাটি ধসে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে চলাচলের জন্য অপর এক জায়গায় বাঁশের সাকো নির্মাণ করে তারা চলাচল করে আসছে। দীর্ঘদিন থেকে তাদের চলাচলের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। উক্ত পুকুর পাড়ে রেকর্ডভূক্ত রাস্তাটি সংস্কার করার জন্য গ্রামবাসী নিজেস্ব অর্থায়নে আরসিসি পিলার দিয়ে প্যালাসাইটিং নির্মাণ করে মাটি ভড়াট করে চলাচলের ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত নেয়। গ্রামবাসী নিজেদের প্রচেষ্টায় ২ লাখ ২০ হাজার টাকা ব্যয় করে কিছু রড সিমেন্ট ক্রয় করেছেন। কাজটি সম্পন্ন করতে আরো অনেক টাকার প্রয়োজন। গত ১০ এপ্রিল অত্র ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল করিম ৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচির শ্রমিক দিয়ে উক্ত জায়গায় মাটি ভরাট করার জন্য শ্রমিক নিয়ে আসেন। কিন্তু দুই পাশের্^র পুকুর মালিকরা মাটি না দেয়ায় শ্রমিকরা ফেরত যান। উক্ত গ্রামের আঃ বাকী মন্ডল জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বন্ধু ছিলেন আমাদের গ্রামের মৃত আঃ সোবহান মন্ডল। বঙ্গবন্ধু যখন ছাত্র ছিলেন তখন বঙ্গবন্ধু ও আঃ সোবহান মন্ডল দুই জনেই ন্যাপ পার্টি করতো। একসময় বঙ্গবন্ধুর নামে মামলা হয়। সেই সময় তিনি এই গ্রামে এসেছিলেন। উক্ত আঃ সোবহান মন্ডল ও আঃ বাকী মন্ডলের পিতার বাড়ীতে তিন মাস অবস্থান করেন বলে জানান তিনি। আঃ বাকী আরও জানান, সেই সময় বঙ্গবন্ধু আমাদের বাড়ীতে ১৯ দিন ছিলেন এবং এই গ্রামের মৃত আঃ সোবহান মন্ডল, আঃ বাকী মন্ডল ও আঃ কাইয়ুম খোকা এই তিন জনের সঙ্গেই উনি বেশি সময় কাটাতেন। অনেক সময় আঃ সোবহান মন্ডলের মাছ ধরা খড়াতে গিয়ে রেডিও’র খবর শুনে দেশের খবর নিতেন। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামীলীগে যোগ দেন। কিন্তু আঃ সোবহান ন্যাপ পার্টিতেই ছিলেন। গ্রামবাসীর আবেদন বঙ্গবন্ধুর পদধূলী যেই গ্রামে পড়েছে সেই গ্রামের মানুষের চলাচলের রাস্তার অভাবে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাই তাদের পারাপারের জন্য বাঁশের সাকো নির্মাণ করেই চলাচল করতে হচ্ছে।