শুক্রবার, ০২ জুন ২০২৩, ১১:৩৯ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম
সাপমারা ইউনিয়ন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত শিক্ষা ব্যাবস্থা উন্নত আধুনিক ও শিক্ষার মান উন্নয়নের কৃতিত্ব একমাত্র প্রধানমন্ত্রীর -মাহমুদ হাসান রিপন এমপি সুন্দরগঞ্জে সাব প্রাণী সম্পদ কল্যাণ কেন্দ্রের বেহালদশাঃ গ্রাম গঞ্জে পশু ডাক্তারের নামে হাতুড়ে ডাক্তারের ছড়াছড়ি গাইবান্ধায় আওয়ামীলীগের ঐতিহাসিক ৭ ই মার্চ উদযাপন সাঘাটায় রেকর্ডভুক্ত জমিতে ব্রীজ নিমার্ণ কাজে বাধাঁ প্রদান করায় ঠিকাদার কর্তৃক থানায় অভিযোগ কলেজপাড়ায় পৌর নাগরিকদের সভা নলডাঙ্গায় নবীন ও বসন্ত বরণ অনুষ্ঠান গাইবান্ধায় স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে মতবিনিময় সভা গাইবান্ধায় মহিলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন গোবিন্দগঞ্জে সরকারি বই বিক্রিকালে জনতার হাতে শিক্ষক-কর্মচারী আটক

ফুলছড়ির গজারিয়ায় ব্রহ্মপুত্রে ব্যাপক ভাঙন ১৫০টি পরিবার বসতবাড়ি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভের মুখে

ফুলছড়ির গজারিয়ায় ব্রহ্মপুত্রে ব্যাপক ভাঙন ১৫০টি পরিবার বসতবাড়ি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভের মুখে

স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র নদের ব্যাপক ভাঙনে ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের ঝানঝাইড় গ্রামের ১৫০টি পরিবার তাদের বসতবাড়ি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। তারা বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধসহ বিভিন্ন এলাকায় আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এছাড়া আত তাওহীদ আস-সালাফিয়া মাদ্রাসাটি হুমকির মুখে পড়ায় অন্যত্র স্থানান্তর করা হচ্ছে। ফলে ওই মাদ্রাসার ৩শ’ ৫০ জন শিক্ষার্থীর লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গেছে।
উল্লেখ্য, ওই এলাকায় নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। বসতবাড়ি ছাড়াও উল্লেখযোগ্য ২শ’ হেক্টর আবাদি জমি ইতোমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। আত তাওহীদ আস-সালাফিয়া মাদ্রাসা ভাঙন কবলিত হয়ে পড়ায় অতি জরুরী ভিত্তিতে মাদ্রাসার বাঁশ, কাঠ, টিন, চেয়ার-টেবিল, ইট ও কংক্রিটের খুঁটি অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।
এদিকে চরাঞ্চলে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে ২০১৩ সালে প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম আবু সামাদের উদ্যোগে এবং প্রধান পৃষ্ঠপোষক ড. সাইফুল্লাহ মাদানীর আর্থিক সহযোগিতায় মাদ্রাসাটি স্থাপন করা হয়। পরবর্তীতে এলাকাবাসির সাহায্যে সহযোগিতায় মাদ্রাসাটি জামাতে মেশকাত (১ম থেকে অষ্টম শ্রেণি) পর্যন্ত ক্লাশ চালু করা হয়। ২০০ হাত লম্বা আবাসিক এবং অনাবাসিক মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মনোমুগ্ধকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। প্রত্যন্ত চরাঞ্চলের মানুষের শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নয়ন ঘটলেও পিছু ছাড়েনি রাক্ষুসে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙন।
তদুপরি নদী ভাঙনে উপজেলার এরেন্ডাবাড়ি ইউনিয়নের জিগাবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়, এরেন্ডাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, জিগাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, এরেন্ডাবাড়ি স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র, দুটি জামে মসজিদ, জিগাবাড়ি বাজার নুরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসা, জিগাবাড়ি ঈদগাহ মাঠ, একটি বিএস কোয়ার্টার, তিনটি মোবাইল টাওয়ার ও এরেন্ডাবাড়ি বাজার এখন মারাত্মকভাবে ভাঙন কবলিত। এছাড়াও জিগাবাড়ি বাজারের ২৫০টি দোকানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙনের মুখে পড়ায় ব্যবসায়িরা চরম বিপাকে পড়েছে।
এদিকে ভাঙন অব্যাহত থাকলেও এলাকাবাসির পক্ষ থেকে একাধিকবার তাগিদ দেয়া সত্ত্বেও পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙন প্রতিরোধে জরুরী ভিত্তিতে কার্যকর কোন ব্যবস্থাই গ্রহণ করেনি।

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com