সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩, ০৭:৫৫ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিনপোর্টারঃ ফুলছড়ি উপজেলার নিভৃত এলাকার কৃষক বেলাল হোসেন (৪০)। কৃষি ফসল উৎপাদন করেই চলে তার সংসার। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি রবি মৌসুমে অন্যান্য সবজির সঙ্গে আবাদ করেছেন লাল জাতের বাঁধাকপি। যেন লাল রঙে সেজেছে তার এই খেত।
বাঁধাকপি চাষে লক্ষাধিক টাকা লাভের স্বপ্ন দেখছেন তরুণ এই কৃষক।
সম্প্রতি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের ভাষারপাড়া গ্রামের ওই কৃষকের খেতে গিয়ে দেখা যায়, লাল রঙের সমাহার। দূর থেকে তাকালে মনে হয় এ যেন এক ফুলের বাগান। আর কাছে এলেই চোখে পড়ে সারি সারি লাল বাঁধাকপি।
ইতোমধ্যে এই বাঁধাকপি দেখতে দূরদূরান্ত থেকে লোকজন আসছেন সেখানে। ওপরের পাতা ছিঁড়লেই বের হয় টকটকে লাল রঙের বাঁধাকপি। যা দেখলেই যে কারো চোখ জুড়িয়ে যায়। দেড় বিঘা জমিতে চাষ করেছেন লাল বাঁধাকপি। ফলন ও দাম ভালো পেয়েও খুশি তিনি।
এদিকে, নতুন এ জাতের আকর্ষণীয় সবজি দেখতে বিভিন্ন এলাকা দেখে লোকজন আসছেন বেলালের সবজি খেতে। তার এ সাফল্য দেখে স্থানীয় কৃষকরা আগামীতে লাল রঙের বাঁধাকপি চাষে আগ্রহী।
এই খেত দেখতে আসা মিম আক্তার নামের এক কলেজছাত্রী বলেন, বেলাল আংকেলের এই কপির ক্ষেত দেখে আমি অনেকটাই মুগ্ধ। এর আগে কখনও লাল রঙের বাঁধাকপি দেখিনি। এর স্বাদ নিতে ৪০ টাকা দিয়ে একটি কপি কিনলাম।
কৃষক বেলাল হোসেন জানান, স্থানীয় বাজারে প্রতি পিস বাঁধাকপি ৫০ থেকে ৬০ টাকা হিসাবে পাইকারি বিক্রি করছেন। এরই মধ্যে ৪০ শতক জমি থেকে ১ লাখ টাকার বিক্রি হয়েছে তার। বীজ-সার-শ্রমিক অন্যান্য খরচ বাদে প্রায় লক্ষাধিক টাকা লাভ থাকবে।
হাসপাতালে কর্মরত শাহীনুল ইসলাম ম-ল নামের এক চিকিৎসক বলেন, লাল বাঁধাকপি এর মধ্যে ভিটামিন এ, সি এবং কে, ক্যালসিয়াম,পটাশিয়ামসহ প্রচুর আয়রণ রয়েছে। এ ধরনের উচ্চ মূল্যবান সবজি কেউ চাষ করতে আগ্রহী হলে তাকে কৃষি বিভাগ কর্তৃক সহযোগিতা করা দরকার।
গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ বেলাল হোসেন বলেন. নতুন এই জাতের বাঁধাকপি আবাদের কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে কৃষক বেলাল হোসনকেও লাভবান করতে সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।