বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০২:৫৪ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধা জেলার ৭ উপজেলায় গত ৪ দিন থেকে প্রচন্ড শৈত্য প্রবাহে কাপছে মানুষজন। গরম কাপড়ের দোকানে উপছে পড়া ভিড় জমেছে। পৌষ মাস শুরুর সাথে সাথেই শীত জেঁকে বসেছে। এতে সর্বত্র কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে। তাপমাত্রা নেমে আসার পাশাপাশি প্রচন্ড হিমেল হাওয়ায় স্থবির হয়ে পড়েছে এলাকার সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের জীবনযাত্রা। ঘন কুয়াশার সাথে হিমেল হাওয়া যুক্ত হয়ে জনজীবন নাকাল করে তুলেছে। গত ৪দিন থেকে সূর্যের দেখা মিলছে না। প্রচন্ড ঠান্ডা ও ঘন কুয়াশার কারনে খেটে খাওয়া মানুষ বিশেষ করে ভ্যান-রিক্সা শ্রমিক ও কৃষক-কৃষানীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কনকনে ঠান্ডায় বৃদ্ধ ও শিশুদের মাঝে ডায়রিয়াসহ ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন ধরনের রোগ দেখা দেয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। শীতকালিন ফসল সরিষা, গম, আলু, বেগুন, পিয়াজ, মরিচ ও বোরো ধানের বীজতলায় শীত রোগ আক্রমণের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
বিশেষ করে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার নদী বিধৌত ৭ ইউনিয়নের চরাঞ্চলের জনগণ শীতের দাপটে কাবু হয়ে পড়েছে। অনেকেই রান্নার চুলায় অথবা খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করছে। শীতের কারনে বৃদ্ধ ও শিশুরা ঘর থেকে বের হচ্ছে না। অনেক কৃষক রবি ফসলের পরিচর্যা করতে পারছেনা। সরকারি ভাবে বরাদ্দকৃত কম্বল চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল।