শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:১৬ অপরাহ্ন
সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ প্রকৃতি যেন নতুন রুপে এবং সাজে পৃথিবীতে আগমন ঘটানোর জন্য উকি দিচ্ছে। সকালে ঘন কুয়াশা সূর্য্যের রশ্মিকে ঢেকে রাখছে, দুপুর প্রচন্ড তাপদহ আবার বিকালে মুষল ধারে বৃষ্টি। অসময়ের বৃষ্টি বাদল এবং প্রচন্ড তাপদহ যেন প্রকৃতির এক নতুন রুপ। আশ্বিন-কার্তিক শরৎ কাল হলেও শীতের ঘনঘটা তেমন কোন দোষের নয়। কিন্তু প্রচন্ড তাপদহ আর বৃষ্টি যেন একেবারেই নতুন কোন বার্তার আগমন। প্রকৃতির এই বৈরী আগমন পৃথিবীর স্বাভাবিক গতিকে থামিয়ে দিয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে সকালে ঘন কুয়াশা দেখা দিয়েছে। আবার পরক্ষনই প্রকৃতি রুপ পাল্টিয়ে মহাগর্জনে বৃষ্টি বাদল ভাসিয়ে দিচ্ছে নিচু এলাকা। এদিকে এসব বৈরী অবস্থার কারনে সবজি ক্ষেতসহ আমন চাষাবাদ নিয়ে শঙ্কায় কৃষকরা। পাশাপাশি রাস্তাঘাটগুলো চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। নানাবিধ রোগ ব্যধিতে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে সাধারন মানুষজন। শান্তিরাম গ্রামের শতবর্ষি মোজার আলী জানান কোন মাসে কি হচ্ছে তা এখন বলা মুসকিল। এ সময় বৃষ্টি বাদল এবং গরম হওয়ার কথা নয়। আমন ধানের শীষে এখন ফুলকি থাকার কথা। অথচ এখনও আমন ধান চারা রোপন করা হচ্ছে। হাট-বাজার শাক সবজি এবং তরিতরকারিতে সরগরম হয়ে উঠত। কিন্তু শাক সবজি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। নদী তার গতিপথ পরিবর্তন করেছে। সে কারনে যে সময়ে নদী ভাঙনের সে সময় নদী ভাঙছে না। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সৈয়দ রেজা-ই মাহমুদ জানান কালের আবর্তনে প্রকৃতি তার রুপ পরিবর্তন করেছে। সে কারনে পৃথিবী তার ভারসম্য হারিয়ে ফেলেছে। এসব কারনে সময়ের কাজ সময়মত হচ্ছে না।