শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩, ০৯:০৩ পূর্বাহ্ন
পলাশবাড়ী প্রতিনিধিঃ পলাশবাড়ীতে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে স্ত্রী কর্তৃক স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ চাকুরীচ্যুত এবং সহায় সম্পদ নগদ অর্থ হাতিয়ে নিয়ে গাঢাকা গিয়েছে স্ত্রী। সরেজমিনে গিয়ে ভূক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, পলাশবাড়ী উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নের ফুটানির বাজার ছোট ভগবানপুর গ্রামের মৃত বদিউজ্জামানের পুত্র মিজানুর রহমান একটি সরকারি চাকুরি করত। একপর্যায়ে তুলষীঘাট ভবানীপুর গ্রামের মৃত মকবুল হোসেন সাদার মেয়ে লাকি বেগমের সাথে তার বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকেই সুখে শান্তিতে বসবাস করে আসছিল। চাকুরীরত অবস্থায় সে দুই বার বিদেশেও গিয়েছিলেন। তিনি স্ত্রীকে অতিরিক্ত ভালোবেসে রংপুর শহরে ২২ লাখ টাকা দিয়ে তার স্ত্রীর নামে একটি জমি ক্রয় করেন এবং রংপুর পোস্ট অফিসে ২ লাখ টাকা ফিস্ট ডিপোসিট করে দেন ও তার সমস্ত সম্পত্তির কাগজপত্র, ব্যাংক একাউন্টের চেক বইয়ে স্বাক্ষর করে দেন। এর মধ্যে তার পরিবারে একটি ছেলে ও একটি মেয়ের জন্ম হয়। মেধাবী ছেলের পড়াশুনার জন্য তারা রংপুরে ভাড়াটিয়া বাসায় বসবাস করত। সে বিদেশে থাকার সময় তার স্ত্রীর বড় ভই ও ভগ্নিপতি বিভিন্ন সময়ে ৮/১০ লক্ষ টাকা ধার হিসেবে নেয়। রংপুর থাকাকালে ছেলে-মেয়ের মাছ খাওয়াকে কেন্দ্র করে স্ত্রীর সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ব্যাপন মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। এর মধ্যে তার গ্রামের বাড়ীতে থাকা আসবাবপত্র স্ত্রী তার পিতার বাড়ীতে নিয়ে যায়। ইতিমধ্যে মিজানুর রহমান তার স্ত্রীর বড় ভাই ও ভগ্নিপতির নিকট ধারকৃত টাকা চাইলে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্বের ঘটনাটি বৃহৎ আকারে ধারণ করে। স্ত্রী কর্তৃক চাকুরীজীবি স্বামীর বিরুদ্ধে একাধিকবার অভিযোগের ফলে তাকে কিছু পেনশনের টাকা দিয়ে চাকুরীচ্যুত করে। এমতাবস্থায় তার ব্যাংক একাউন্টটি তিনি বন্ধ করে দেন। বর্তমানে তার স্ত্রীর বড় ভাই ও ভগ্নিপতি তার স্ত্রীর নিকট থাকা স্বাক্ষরিত চেকবহির পাতায় মোটা অংকের টাকা বসিয়ে চেক ডিজঅনার করেছেন বলে জানা যায়। তার স্ত্রীর বড় ভাই ও ভগ্নিপতি বর্তমানে চেক জালিয়াতির মামলাসহ তিনি ও তাার পরিবারবর্গের প্রতি বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি অব্যাহত রেখেছে। বর্তমানে তিনি সহায় সম্বল হারা ও ছেলে-মেয়ে হারা পিতা অসহায়ভাবে দিন যাপন করছেন।