সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩, ০৬:৫৮ পূর্বাহ্ন
পলাশবাড়ী প্রতিনিধিঃ পলাশবাড়ীতে বিএডিসি সেচ পাম্পের লাইসেন্স প্রদানে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ। হয়রানীর স্বীকার হচ্ছে প্রকৃত সেচ পাম্প মালিকরা। পলাশবাড়ী উপজেলার বিএডিসি অফিস কর্তৃক নিয়মের বর্হিভূতভাবে সেচ পাম্পের লাইসেন্স প্রদান করে আসছেন। প্রকৃত সেচ পাম্প মালিকদের লাইসেন্স না দিয়ে গোপনে অর্থের বিনিময়ে নিয়ম বর্হিভূতভাবে লাইসেন্স প্রদান করা হচ্ছে বলে সেচপাম্প মালিক সূত্রে জানা যায়। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পূর্ব ফরিদপুর গ্রামের আয়তাল হকের পুত্র শাহিন মিয়া পূর্ব ফরিদপুর মৌজার খতিয়ান- ৭৭০, দাগ- ২৪৫৯ বিএডিসি কর্তৃক অগভীর নলকূপের লাইসেন্স গ্রহণ করেন, লাইসেন্স নং- অ/৩৫২। উক্ত লাইসেন্সের ২০২৩ সাল পর্যন্ত হালনাগাদ রয়েছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ৭৫০ ফুট দূরত্ব রেখে উক্ত মৌজাস্থ শাহীনের সেচপাম্প থেকে একই গ্রামের বাবলুর অগভীর নলকূপের লাইসেন্স রয়েছে। কিন্তু দুই নলকূপের বর্ডিং এর মাঝখানে তার পার্শ্ববর্তী একই গ্রামের কাশেমের পুত্র আঃ লতিফকে ৩৫০ ফুটের মধ্যে গোপনে লাইসেন্স প্রদান করেন। যার ডিপি খতিয়ান ২৪৫ সাবেক দাগ ১৭৪৫ হাল দাগ ২১৫০ উক্ত জমি লতিফের পিতা পূর্বেই বিক্রি করেছেন এবং উক্ত স্থানে তার নলকূপের বডিংও নেই এবং লতিফের নামে ইতিপূর্বেও একটি লাইসেন্স রয়েছে। তার পরেও নিয়মবর্হিভূতভাবে লতিফকে লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে। সরেজমিনে সঠিক তদন্ত করলে মূল রহস্য রেবিয়ে আসবে। এছাড়াও উপজেলায় অনেক সেচপাম্প মালিকরা জানান, পূর্ব থেকেই যারা সেচ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে তাদের নামে লাইসেন্স না দিয়ে গোপনে অর্থের বিনিময়ে নতুন ব্যক্তিদেরকে লাইসেন্স প্রদান করা হচ্ছে। তাতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে পুরাতন সেচপাম্প মালিকরা। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামান জানান, ৭৫০ ফুটের মধ্যে লাইসেন্স থাকা স্বর্ত্বেও যদি লাইসেন্স প্রদান করে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে পরের লাইসেন্স বাতিল করা হবে।