সোমবার, ২৯ মে ২০২৩, ০১:৫৬ পূর্বাহ্ন
পলাশবাড়ী প্রতিনিধিঃ পলাশবাড়ী উপজেলার পল্লীতে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বসতবাড়ি ভাঙচুরসহ গরু-ছাগল লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। থানা পুলিশ উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মোসলেম উদ্দিনের বাড়ী থেকে ৫টি গরু এবং ১টি ছাগল উদ্ধার করে।
থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার অভিরামপুর গ্রামের মতিয়ার রহমানের স্ত্রী গোলেজা বেগম পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত জমি-জমা সংক্রান্ত ভাগ বন্ঠনের নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলছিল। এরই প্রেক্ষিতে গোলেজা বেগমের পাওনা জমি দিবে-দিচ্ছি বলে বিবাদী উপজেলার হোসেনপুর ইউপি’র চাকলা গ্রামের মৃত বজলুর রহমানের ছেলে বাবু মিয়া, ছাকা মিয়া, শরিফুল ইসলাম ও ইউপি সদস্য মোসলেম উদ্দিনসহ অন্যান্যরা দীর্ঘদিন থেকে তালবাহানা করে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় ২২ ফেব্রুয়ারী (শনিবার) সকালে বাড়ীতে না থাকার সুবাদে উপরোক্ত বিবাদীগণ লাঠিসোডা এবং দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পলাশবাড়ী উপজেলার চকলা গ্রামে গোলেজা বেগমের বসতবাড়ীতে অনাধিকার প্রবেশ করতঃ ঘরের থাকা জিনিসপত্র ভাঙচুরসহ ৪০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করে। পরবর্তীতে ইউপি সদস্য মোসলেম উদ্দিনের সহযোগিতায় অন্যান্য বিবাদীগণ গোলেজার ঘরের অক্ষিত জিনিসপত্রসহ ৫টি গরু এবং ৫টি ছাগল জোরপূর্বক নিয়ে যায়। এ ঘটনায় বাধা প্রদান করতে গেলে গোলেজা বেগম ও তার দুই মেয়ে মমতাজ বেগম এবং মাহমুদা বেগমকে বেধরক মারপিট করে গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করলে তারা প্রাণে বাঁচে। এ ব্যাপারে মতিয়ার রহমান বাদী হয়ে ইউপি সদস্য মোসলেম উদ্দিনসহ ১১জনকে বিবাদী করে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে ইউপি সদস্য মোসলেম উদ্দিনের বাড়ী থেকে ৫টি গরু এবং ১টি ছাগল উদ্ধার করে।
এ অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সঞ্জয় সাহা জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে ৫টি গরু এবং ১টি ছাগল উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অভিযোগটি থানায় রেকর্ডভূক্ত হয়নি।
এদিকে থানায় অভিযোগ করায় ইউপি সদস্য মোসলেম উদ্দিনসহ অন্যান্য বিবাদীগণ গোলেজা বেগম তার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন পূর্বক প্রাণের হুমকি দিয়ে আসছে। এমতাবস্থায় অসহায় পরিবারটি এখন আতংকে এবং নিরাপত্তাহীন অবস্থায় ভুগছে।