শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:৩৭ অপরাহ্ন
নলডাঙ্গা (সাদুল্লাপুর) প্রতিনিধিঃ সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা হাটে জবাইকৃত পশুর বর্জ্যরে দুর্গন্ধে জনস্বাস্থ্য হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়ছে। সম্প্রতি এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে ভুক্তভোগি কিছু পরিবার অভিযোগ দাখিল করেছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, নলডাঙ্গা হাটের জবাইখানায় প্রতিদিন ৪/৫টি করে গরু জবাই করা হয়। দীর্ঘদিন থেকে এসব জবাইকৃত পশুর মলমুত্র, রক্ত,চামড়া ও উচ্ছিষ্ট অংশ জবাইখানার সামনেই একটি গর্তে ফেলানো হয়। এসব বর্জ্যরে পঁচা গন্ধে হাঁটুরে লোকজন আশেপাশে বসবাসকারী পরিবারগুলো বাস করা দুস্কর হয়ে পড়ছে। জবাইখানার পাশে প্রতিদিন মাছের আড়ৎ সহ বিভিন্ন ধরনের হাট বাজার বসে। এ অবস্থায় অসহনীয় গন্ধে ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ই নাক চেপে ধরে খরচ নিয়ে দ্রুত সটকে পড়ছেন। স্থানীয় মাংস ব্যবসায়ীরা বলেন, হাটে ময়লা আর্বজনা ফেলার নির্ধারিত কোন জায়গা না থাকায় নিরূপায় হয়ে জবাইখানার সামনে একটি গর্তে জবাইকৃত পশুর মলমুত্র ফেলতে হচ্ছে। এসব ময়লা নিস্কাসনের কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই। ফলে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ভুক্তভোগিদের দাবি প্রখর রোদ কিংবা সামান্য বৃষ্টি হলেই দুর্গন্ধের মাত্রা ছড়িয়ে পড়ে আশে পাশে থাকা দুর্বিসহ হয়ে উঠে। এছাড়া একটু বৃষ্টিতে ওই গর্তের ময়লা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানি আশেপাশের বাড়ি ঘরে ঢুকে পড়ে পরিবেশ দুষিতত হয়ে উঠছে। এতে ওই পরিবারগুলো বাড়িতে ছেলে মেয়ে নিয়ে বসবাস করা দূর্বিসহ হয়ে উঠেেছ। এছাড়া গত শুক্রবার সরেজমিনে হাটটিতে গিয়ে দেখা গেছে, ক্রেতা বিক্রেতাদের মলমুত্র ত্যাগের জন্য হাটের মধ্যে বেশ কয়েকটি টয়লেট নির্মান করা হলেও তা এখন ব্যবহার অনুপোযোগি হওয়ায় সবগুলো টয়লেট পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। এমতবস্থায় লোকজন যত্রতত্রভাবে মলমুত্র ত্যাগ করায় ঐতিহ্যবাহী হাটটির পরিবেশ মারাত্নক ভাবে বিঘিœত হচ্ছে। বিদ্যমান এ পরিস্থিতিতে যে কোন মৃহুর্তে এ এলাকায় ডায়রিয়া, আমাশয়, ও পেটের পীড়া সহ বিভিন্ন ধরনের মারাত্নক রোগ বালাই হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় সচেতন মহল। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলেন,এ বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে একাধিকবার জানানো হলেও তিনি কোন ব্যবস্থা নেননি। পরে বাধ্য হয়ে বিষয়টি সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে লিখিত ভাবে অবগত করা হয়েছে। ভুক্তভোগি পরিবারের আঃ মান্নান, রফিকুল ইসলাম, রাহাদ মিয়া, রনি মিয়া ও কালু সহ অনেকের দাবি বিদ্যমান পরিস্থিতি থেকে পরিত্রান পেতে দ্রত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানান। নলডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম নয়ন বলেন, এ ব্যাপারটি আমার জানা আছে এবং এ সংক্রান্ত লিখিত দরখাস্ত আমি পেয়েছি। এ বিষয়ে হাট কমিটির সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অদ্যবধি এ ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে জানা গেছে।