শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:৪৬ পূর্বাহ্ন
নলডাঙ্গা (সাদুল্লাপুর) প্রতিনিধিঃ সাদুল্লাপুর উপজেলার বিভিন্ন খালবিল ও নদীনালা গুলো এখন বর্ষার পানিতে টুইঁটুম্বর। এসব খাল বিল ও নদী নালায় থৈথৈ পানিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে ঝাঁকে ঝাঁকে বিভিন্ন প্রজাতির পোনা মাছ। অল্প কিছুদিন পরেই পোনা মাছগুলো বড় হবে। কিন্তু এরই মধ্যে এক শ্রেণির মৎস্য শিকারিরা খালবিল ও নদীনালাগুলো দখলে নিয়ে চায়না জাল ও সুতি জালের ফাঁদ বসিয়ে নানা কৌশলে নির্বিচারে পোনামাছ নিধন করছেন।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলায় আর নজরদারীর অভাবে মৎস্য সংরক্ষন আইন অমান্য করে উপজেলা জুড়ে নির্বিঘেœ চলছে মৎস্য নিধনের মহোৎসব। এমতবস্থায় বিশেষ করে দেশিয় প্রজাতির পোনা মাছ বিলুপ্তির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবুও এনিয়ে সংশ্লিষ্টদের নেই কোন ভাবনা।
সরেজমিনে দেখা যায়, সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা, কামারপাড়া ও দামোদরপুর ইউনিয়নের খাল-বিলগুলোতে দলবেঁধে মৎস্য শিকারীরা দিনরাতে শিকার করছেন ছোট বড় নানা প্রজাতির মাছ।
এরমধ্যে নলডাঙ্গা ইউনিয়নের গড়েয়া-বোনভাঙ্গা (বজরীমাড়া)
বিলে চায়না দুয়ারী জাল ব্যবহার করে দেশীয় প্রজাতির কৈ,শিং,মাগুর, ট্যাংরা,শোলসহ নানা ধরনের পোনা মাছ শিকার করছে স্থানীয় মৎস্যজীবিরা। তবে সংশ্লিষ্টদের মৌন ভুমিকায় এসব জালের অবাধ ব্যবহারে ক্ষতির মুখে পড়ছে জলজ উদ্ভিদ ও জীববৈচিত্র্য।
সংশ্লিষ্টি একটি সুত্র জানায়, পোনা মাছ নিধন শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তবে এবিষয়টি জানা নেই অনেকের। ফলে আইনগত সচেতনতার অভাবে সহসায় এসব পোনা শিকার করছেন মৎস্য শিকারীরা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলা মৎস্য বিভাগের নাকের ডগার ওপর দিয়ে বিভিন্ন হাটবাজার গুলোতে প্রকাশ্যে নিষিদ্ধ অবৈধ কারেন্ট জাল ও চায়না জাল বেচাকেনা করা হচ্ছে। কিন্তু উপজেলা মৎস্য বিভাগ থেকে অদ্যবধি এব্যাপারে কোন কার্যকরী ব্যবস্থা না নেওয়ায় জনমনে নানা সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে।