রবিবার, ০১ অক্টোবর ২০২৩, ১২:১৪ অপরাহ্ন
ধাপেরহাট (সাদুল্লাপুর) প্রতিনিধিঃ সাদুল্লাপুর উপজেলার একমাত্র সর্বোচ্চ রাজস্ব আয়ের ঐতিহ্য বাহী ধাপেরহাট। হাটের নিজস্ব জায়গা সংকুলান না হওয়ায় ইতিমধ্যে হাটের গরু হাটি বিলীন হয়েছে। আস্তে আস্তে গুটিয়ে আসছে ঐতিহ্যবাহী কাঁচা বাজারের পাইকারী হাট। আরো বড় সংকটে পড়তে যাচ্ছে, রংপুর বগুড়া মহাসড়ক ৪ লেন বাস্তায়নে, জমি অধিগ্রহনের ফলে বিশাল পাইকারী হাটের এই বাজারটির ভবিষ্যৎ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে ব্যবসায়ী ও স্থানীয় হাটুরে লোকজন। বিগত প্রায় ৫০ বছরের পুরাতন ঐতিহ্যবাহী এ হাটে সপ্তাহে দু’দিন সোমবার ও বৃহস্পতিবার হাটবার। এ দু’দিন এলাকার কৃষকের উৎপাদীত কাঁচা সবজি, যেমন আল, পোটল, বেগুন, কাঁচা মরিজ, শশা, বরবটি, হলুদ কচুসহ বিভিন্ন প্রকার শাকসবজি বিক্রি করতে এ হাটে ভীড় জমায় হাজার হাজার মানুষ। বিভিন্ন জেলা থেকে কাচামালের ব্যবসায়ীগন এ হাট থেকে ২০/২৫ ট্রাক করে কাচামাল ক্রয় করে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে নিয়ে যায়। সুবিশাল এ হাটটি এখন বিলুপ্ত হতে বসেছে, একমাত্র সমস্যা হাটের নিজস্ব জায়গা সংকট । হাটে স্থান সংকুলান না হওয়ায় অনেক কৃষক তাদের উৎপাদিত ফসল হাটে না এনে, অনেকে রাস্তার মোড়ে মোড়ে কমদামে বিক্রি করায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে একদিকে কৃষক অপরদিকে হাটইজারাদার, এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে অনেক সুবিধা বাদী ফড়িয়া ব্যবস্যায়ীরা কৃষককের উৎপাদিত ফসল রাস্তা ঘাটে কম দামে ক্রয় করে এনে হাটে উচ্চমূল্যে বিক্রি করছে। ১নং খতিয়ানের ১৬ দাগের ৬৭ শতাংশ জমি আছে হাটের নামে যা অতি নগন্য । শুরুতে ব্যাবসা বানিজ্য কম হওয়ায় হাটের জায়গা সংকট না হলেও কালের বিবর্তনে দিনে দিনে হাটটি বিশাল আকার ধারন করেছে। ৫’শ টাকার বাৎসরিক রাজস্ব আয়ের হাটটি থেকে সরকার এখন প্রতি বছর ৬০/৬৫ লাখ টাকা রাজস্ব আয় হচ্ছে। হাটের জায়গা সংকটের কারনে হাটের ইজারাদার মহাসড়ক সংলগ্ন আখক্রয় কেন্দ্রের জায়গা ভাড়া নিয়ে গরুহাট বসিয়েছিলেন, ৪/৫ বছর ভাড়াটিয়া জায়গায় গো হাটির কার্যক্রম চললেও সুগার মিল কর্তৃপক্ষ আর জায়গা ভাড়া না দেওয়ার ফলে গো হাটটি আজ বিলীন হয়েছে। স্থানীয় ভূমি অফিস চত্তরে অনেক দোকান পাঠ বসত,ভূমি অফিস তাদের সীমানা প্রাচীর দিয়ে বাউন্ডারী করে নেওয়ায় আরও দূর্ভোগ বেড়েছে দোকানীদের। হাটের ১ পাশ্বে মহাসড়ক অপর পাশ্বে বয়ে গেছে আখিরা নদী। স্থান সংকটের কারনে হাটবসে ভুমি অফিসের বারান্দায়, উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মেইন ফটকে এবং মহাসড়কের দূ’ধারে,যার ফলে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের স্বাস্থ্য সেবা প্রদানে ব্যঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। একই অবস্থায় ভূমি অফিসেও। জীবনের ঝুকি নিয়ে মহাসড়কে চলছে কেনা বেচা। লাগছে যানযট, প্রতিদিন ঘটছে ছোট বড় দূর্ঘটনা। তাই জরুরি ভিত্তিতে হাটের নিজস্ব জায়গা ক্রয় করা প্রয়োজন। হাটের জায়গা বৃদ্ধি করলে প্রতিবছর সরকারের রাজস্ব আয় আরও বৃদ্ধি পাবে এমন আশাবাদ সুধি জনের। ধাপেরহাট পরিচালনা কমিটির সভাপতি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম নওশা জানান, হাটের জায়গা সংকটে এ হাটটি তার নিজস্ব ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। পাশ্বের জমি একোয়ার করে হাটের নামে জায়গা ক্রয় করা একান্ত জরুরি। হাট ইজারাদার ওয়াজেদ আলী মন্ডল শাফি বলেন, ইতি পূর্বে একাধীকবার হাটের নামে জায়গা ক্রয়ের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি। কিন্তু আজঅবধি তা হয়নি। চলতি সনে অনেক টোল আদায় কম হয়েছে। জায়গা না থাকায় হাটটি ভেঙ্গে বিভিন্ন স্থানে গিয়েছে। ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে মোড়ে মালামাল ক্রয় বিক্রয় করছে, সেখানে গিয়ে আমরা টোল আদায় করতে পারছিনা। স্থানীয় ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ছামছুল ইসলাম সাবিন বলেন: অফিসের সামনে দোকান পাট বসায় আমাদের অফিসের কাজের ব্যঘাত সৃষ্টি হচ্ছে।