শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:২৪ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম
গাইবান্ধায় আমন কাটার পরই আলু চাষে ব্যস্ত চাষিরা ১৫ বছরে বদলে যাওয়া উপজেলার নাম গোবিন্দগঞ্জ গাইবান্ধার পাঁচটি আসনের তিনটিতেই আওয়ামী লীগের নারী প্রার্থী গাইবান্ধা ২ সদর আসনে স্বামী স্ত্রীর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দাখিল গাইবান্ধায় কালো পতাকা মিছিল সমাবেশ গাইবান্ধার ৫টি আসনে ৫২ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল স্ত্রীর লাশ ফেলে পালিয়ে যাওয়া স্বামীর প্রাণ গেল ট্রেনে ১৬ বছর সংসারের পর স্ত্রীর সাথে বিচ্ছেদঃ ২০ কেজি দুধ দিয়ে গোসল করেছেন স্বামী হৃদরোগের চিকিৎসায় ইউজিসির গবেষণা সহায়তার অনুমোদন পেয়েছেন ডঃ হযরত আলী সুন্দরগঞ্জে বিজয় দিবসের প্রস্তুতিমুলক সভা অনুষ্ঠিত

দিনে আয় মাত্র ৫০ টাকাঃ প্রতিবন্ধী বিনোদের কষ্টের জীবন

দিনে আয় মাত্র ৫০ টাকাঃ প্রতিবন্ধী বিনোদের কষ্টের জীবন

স্টাফ রিপোর্টারঃ দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত প্রতিবন্ধী বিনোদ চন্দ্রের (৪৫) জীবন। জন্ম থেকেই তিনি শারীরিক প্রতিবন্ধী। তবে প্রতিবন্ধী হলেও কারও কাছে হাত না পেতে সাইকেল-রিকশা মেরামত করে সংসার চালান। আর নিজের স্থায়ী কোনো দোকান না থাকায় অন্যের দোকানের বারান্দা বা রাস্তার ধারে তাকে কাজ করতে হয়।
বিনোদ চন্দ্র সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের ঘগোয়া গ্রামের মৃত অশিক চন্দ্রের ছেলে। দুই সন্তান ও স্ত্রী নিয়ে একটি জরাজীর্ণ ঝুঁপড়ি ঘরে বসবাস করেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিনোদ চন্দ্র প্রায় দুই যুগ ধরে রাস্তার পাশে সাইকেল, ভ্যান ও রিকশা মেরামত করেন। শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় তার কাছে পরিচিতজনরা ছাড়া অন্যরা আসেন না। পরিচিতদের বিকল সাইকেল আর ফাটা টায়ার মেরামত করে দিনে পারিশ্রমিক পান মাত্র ৫০-৬০ টাকা। এই সামান্য আয় দিয়েই অতিকষ্টে চলে তার সংসার। স্বামীর আয়ে সংসার না চলায় তার স্ত্রী রেনু বালা অন্যের বাড়িতে কাজ করেন। এভাবেই চলছে তাদের পরিবারের চার সদস্যের জীবন।
স্থানীয়রা জানান, বিনোদ চন্দ্র খুব সহজ-সরল মানুষ। শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ার পরেও তিনি জীবিকার তাগিদে সাইকেল মেরামতের কাজ করেন। তার কাছে সাইকেল-ভ্যানের ছোটখাটো সমস্যা নিয়ে লোকজন আসেন। এতে দিনে ৫০ বা ৬০ টাকার বেশি আয় হয় না। এ দিয়েই তিনি কোনোমতে সংসার চালাচ্ছেন। কখনো তিনি অন্যের কাছে হাত পেতে সাহায্য চাননি। সরকারি বা বেসরকারিভাবে বিনোদকে কোনো সহযোগিতা করা হলে তিনি একটু সচ্ছল জীবনযাপন করতে পারতেন।
স্থানীয় বাসিন্দা সুজন মিয়া বলেন, বিনোদের কাজের স্থানী কোনো ঠিকানা নেই। বিভিন্ন জায়গায় বসে তিনি সাইকেল মেরামত করেন। এতে যতসামান্য আয় হয়। তার থাকার কোনো ভালো ঘর নেই। ঝুঁপড়ি ঘরে বউ-বাচ্চা নিয়ে থাকেন।

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com