শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:২৯ অপরাহ্ন

তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশায় আক্রান্ত বীজতলা হতাশ কৃষকরা

তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশায় আক্রান্ত বীজতলা হতাশ কৃষকরা

সাঘাটা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার সাত উপজেলার সাড়ে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে লাগানো হয়েছে ইরি-বোরো বীজ। কিন্তু ইরি-বোরোর চারা বা বীজতলা তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশায় আক্রান্ত হয়েছে। তাই ক্রমেই চারাগুলো কালো, লাল বা সাদা বর্ণের হয়ে পঁচে মারা যাচ্ছে।
কৃষি বিভাগ জানায়, এতে হতাশার কিছু নেই। পলিথিন দিয়ে জমি ঢেকে বা জমিতে পানি আটকে রেখে বা প্রতিদিন সকালে বাঁশের কঞ্চি দিয়ে কুয়াশা পরিস্কারে ধান গাছের চারা বাঁচানো সম্ভব।
সরেজমিনে দেখা যায়, গাইবান্ধা জেলায় চলতি সপ্তাহ থেকে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। পাশাপাশি গুড়িগুড়ি বৃষ্টি। এতে নষ্ট হচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন। শীতের প্রভাব পড়েছে ক্ষেত-খামার ও ইরি-বোরো বীজতলায়। ঠান্ডায় আক্রান্ত হয়ে ধানের চারাগুলো কালো, লাল বা সাদা বর্ণের হয়ে পঁচে মারা যাচ্ছে।
গাইবান্ধা সদর উপজেলার কৃষক আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘৫ শতাংশ জমিতে এবার বোরোর বীজ লাগানো হয়েছে। কিন্তু শীতের কারণে বীজের চারাগুলো সাদা বর্ণের হচ্ছে। জানি না, চারাগুলো জমিতে রোপণ করা সম্ভব হবে কি না।’গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সোনাইডাঙ্গা গ্রামের কৃষক ময়নুদ্দিন আকন্দ বলেন, ‘গতবছর বন্যার পরে চড়া দামে আমনের চারা কিনতে পারিনি বলেই আমনের আবাদ না করে জমি পরিত্যক্ত রেখেছিলাম। এ বছর যদি ঘন কুয়াশায় বোরোর চারা মারা যায়, তাহলে কোনোভাবেই বোরোর চাষ সম্ভব না।’
সাঘাটা উপজেলার তেলিয়ান গ্রামের কৃষক তোফাজ্জান হোসেন বলেন, ‘শীতের কারণে এবার বোরোর চারা সাদা বর্ণের হয়ে গেছে। এমন আবহাওয়া যদি সপ্তাহখানেক থাকে, তাহলে চারাগুলো পচে যেতে পারে। ফলে আমাদের বোরো চাষে চারা সঙ্কট দেখা দিতে পারে।’
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, ‘শীতে আক্রান্ত বীজতলার বিষয়ে মাঠে মাঠে ঘুরে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’
গাইবান্ধা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মাকছুদুর রহমান বলেন, ‘এ বছর জেলায় ৬ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো বীজতলার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। প্রায় ৫ হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে বোরোর লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। শীতে বীজতলা নিয়ে হতাশার কিছু নেই।

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com