শনিবার, ১০ জুন ২০২৩, ০৮:২৩ অপরাহ্ন
সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুন্দরগঞ্জে তিস্তা সেতুর কাজ এখনো আরম্ভ হয়নি। সংযোগ সড়কের কাজ আরম্ভ হলেও ৫/৬ মাস থেকে বন্ধ আছে। আছে ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা। মাটি ভরাট রাস্তায় খানা-খন্দে ভরপুর। চরম ভোগান্তিতে জন সাধারণ। তিস্তা সেতু নির্মাণে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে সৌদি সরকার। সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণে অনেক আগেই বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। মাটি ভরাট কাজ শুরু হলেও ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় তা এখন থেমে আছে।
তিস্তা সেতুর দৈর্ঘ্য হবে ১৪৯০ মিটার। প্রস্থ্য হবে ৯.৬ মিটার। সেতুর স্প্যান হবে ৩১ টি। নদী শাসন হবে ৬ কিঃমিঃ। সেতুর দুই পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ হবে ৮২ কিঃমিঃ। এর মধ্যে নদীর পশ্চিম পার্শ্বে ৭৬ কিঃমিঃ এবং পূর্ব পার্শ্বে ৬ কিঃমিঃ। সংযোগ সড়কে মাটি ভরাটের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১৬ কোটি ৭১ লাখ ৫৮ হাজার ১৬১ টাকা। মাটি ভরটের কাজ শুরু হলেও ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় ৫/৬ মাস থেকে কাজ থেমে আছে।
গত বছর হরিপুর থেকে সুন্দরগঞ্জ পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিঃমিঃ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধে মাটি ভরাট করা হয়। উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর এ কাজের তত্ত্বাবধান করেন। কিন্তু ঘন বৃষ্টি ও বন্যার কারণে কাজ করা সম্ভব হয়নি। এ রাস্তার টপ হবে ২৪ ফিট। বাকী রাস্তার টপ হবে ১৮ ফিট। কাজ থেমে থাকায় হরিপুর থেকে সুন্দরগঞ্জ ১৫ কিঃমিঃ রাস্তা বর্তমানে বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। কাঁচা ও পাকা সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত ও দুই পাশ ধ্বসে গেছে বৃষ্টির পানিতে। বৃষ্টির সময় রাস্তায় জলাবন্ধতার সৃষ্টি হয়। কাঁদার সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়ে সড়কটি। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় জন সাধারণকে। উপজেলার ১৫ টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬টি ইউনিয়নের জনগন এ রাস্তা দিয়ে সুন্দরগঞ্জ শহরে যাতায়াত করে। গর্তের কারণে বর্তমানে অটোবাইক ও ভ্যান ছাড়া অন্য কোন যানবাহন চলছে না। বৃষ্টি হলেই শিক্ষার্থীরা পড়ে যায় বিপাকে। মুমুর্ষ রোগী বহনকারী এ্যাম্বুলেন্স দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। ছোট ছোট দুর্ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে এ রাস্তায়। এখন পর্যন্ত খানা-খন্দ মেরামত করার কোন উদ্যোগ নেয়নি কেউ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৮ সালে সেতু নির্মাণের দরপত্র আহবান করা হয়। যা পরে বাতিল হয়ে যায়। এ বছর পুনরায় দরপত্র আহবান করা হয়েছে। এ ব্রীজটি নির্মাণ হলে গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম বাসীর ঢাকা যেতে ৮০ কিলোমিটার রাস্তা কমে যাবে। এতে ঢাকায় পৌঁছাতে সময় লাগবে কম। এছাড়া ব্রীজ নির্মাণ ও সংযোগ সড়কের কাজ সম্পন্ন হলে গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম বাসীর অনেক উন্নয়ন হবে। কারণ কম সময়ে ও কম খরচে ব্যবসা বাণিজ্য করা যাবে। উপজেলা প্রকৌশলী আবুল মনছুর জানান, সংযোগ সড়কে মাটি ভরাটের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১৬ কোটি ৭১ লাখ ৫৮ হাজার ১৬১ টাকা। খুব শীঘ্রই সংযোগ সড়কের কাজ আরম্ভ হবে। তিনি আরো জানান, ব্রীজ ও রাস্তার কাজ সম্পন্ন হলে গাইবান্ধা, সুন্দরগঞ্জ, চিলমারী, উলিপুর ও কুড়িগ্রামের যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নয়ন হবে।