সোমবার, ০৫ জুন ২০২৩, ০৬:৪৬ পূর্বাহ্ন
সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের খোদ্দা গ্রামে তিস্তার শাখা বুড়াই নদীর উপর নির্মিত কাঁঠের সাঁকোটি পানির স্রােতে ভেঙে ভেসে গেছে। সে কারনে ওই এলাকার কমপক্ষে ১০ হাজার মানুষের চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। অসহনীয় দুর্ভোগে পড়েছে চরবাসি। নৌকায় এখন তাদের চলাচলের একমাত্র ভরসা। পানির স্রােতে সাঁেকাটি ভেসে যাওয়ার দুই সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও আজও মেরামত করা হয়নি। গত ২০ বছর ধরে স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিত্বে তিস্তার বুড়াই শাখা নদীর উপর বাঁশের ও কাঁঠের সাকো নিমাণ করে চলাচল করতেন।
জানা গেছে, উপজেলার খোদ্দা ও লাঠশালার চরে বেক্সিমকো কোম্পানির নির্মাণাধীন পাওয়ার প্লান্ট প্রকল্পের কর্মকর্তারা চলাচলের কারনে ২০১৮ সালে কাঁঠের সাঁেকা নির্মাণ করেন। সেই সুবাধে চরবাসি চলাচল করতেন। প্রতিদিন সাঁকোর উপর দিয়ে স্কুল ও কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ হাজারও পথচারি চলাচল করে। এছাড়া ব্যবসায়ীরা কৃষিপণ্যসহ নানা প্রকার উপকরণ নিয়ে চলাচল করত। সাঁকোটি ভেসে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে ওই এলাকার অবালবৃদ্ধবনিতারা। স্থানীয় স্কুল শিক্ষক রেজাউল ইসলাম জানান বেক্সিমকো কোম্পানি সাঁকোটি নির্মাণের পর থেকে গত দুই বছর চরবাসির কোন সমস্যা হয়নি। বন্যার কারণে সাঁকো ভেঙে ভেসে যাওয়ায় বতমানে চর খোদ্দা, খোদ্দা, লাঠশালা, কালপানি, বজড়াসহ ৮ হতে ১০টি গ্রামের কমপক্ষে ১০ হাজার মানুষের চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। জরুরী ভিত্তিত্বে সাঁকোটি নির্মাণ করা একান্ত প্রয়োজন। তারাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম জানান তিনি ঘটনাস্থ পরিদর্শন করেছেন। বর্তমানে পানি বেশি এবং তীব্র স্রােত রয়েছে। সে কারনে দ্রুত মেরামত করা সম্ভব হচ্ছে না। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই মেরামত করা হবে। উপজেলা নিবার্হী অফিসার কাজী লুতফুল হাসান জানা চেয়ারম্যানের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে দ্রুত প্রয়োনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। আপাতত নৌকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।