সোমবার, ২৯ মে ২০২৩, ০১:৪৪ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ মানুষের মৌলিক চাহিদা গুলোর মধ্যে অন্যতম চিকিৎসা কিন্তু গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে ডাক্তার সংকটসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত থাকায় এ মৌলিক চাহিদা হতে বঞ্চিত হচ্ছেন গাইবান্ধার সাধারণ মানুষ। অল্প সংখ্যক বিভাগে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার থাকলেও বেশি গুলোতেই নেই কোনো বিশেষজ্ঞ ডাক্তার। বাধ্য হয়ে চিকিৎসা না নিয়েই প্রতিদিন হাসপাতাল থেকে ফিরে যাচ্ছেন অনেকে। রোগীর ওয়ার্ড, টয়লেট, বাথরুম, বিছানা নোংরা হওয়ায় ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ।
২০০ শয্যা বিশিষ্ট গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালটিতে মেডিসিন, ইএনটি, চক্ষু, চর্ম ও যৌন, অর্থোসার্জারি বিভাগে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নেই। হাসপাতালে ৪২ জন চিকিৎসকের পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন মাত্র ১৮ জন। আবাসিক চিকিৎসকের পদও শূন্য। জরুরি বিভাগ সামলাতে হচ্ছে মাত্র একজন মেডিকেল অফিসার দিয়ে। শিশু ও কার্ডিওলজিস্ট বিভাগে আছেন একজন করে জুনিয়র কনসালটেন্ট। হাসপাতালে রেডিওলজিস্ট না থাকায় এক্স-রে, আলট্রাসনোগ্রামের জন্য রোগীদের যেতে হয় বাহিরে। আর ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন, আলট্রাসনোগ্রাম মেশিনে নানা সমস্যা থাকায় সেগুলো দীর্ঘদিন থেকে অকেজো।যা চিকিৎসা সেবা প্রদানে হিমসিম খাচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যার ফলে সঠিক চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। নিয়মিত ডাক্তার না আসায় বাধ্য হয়ে বাহিরের ডাক্তার দেখিয়ে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে রোগীদের। হাসপাতালের বেড গুলোতেও নেই ভালো পরিবেশ। হাসপাতাল জুড়ে নোংরা পরিবেশ। টয়লেটগুলো ব্যবহার অনুপযোগী। ওয়ার্ডে সুইপার দিনে একবারে এসে কোনো রকম ঝাড়ু দিয়ে চলে যায়। ময়লা জমে মেঝে ও দেয়াল কালো রং ধারণ করেছে।
গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে উপ পরিচালক, ডাঃ মোঃ মাহফুজার রহমান বলেন গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের যে সমস্যা রয়েছে তা দ্রুত সমাধান করা হবে।
গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে সিভিল সার্জন, ডাঃ এ.বি.এ.আবু হানিফ, ডাক্তার সংকটের কথা স্বীকার করে বলেন আমরা এই সমস্যা সমাধানের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আশাকরি অতি দ্রুতই এই ঘাটতি পদগুলো আমরা সমাধান করতে পারবো।
জেলার প্রায় ২৬ লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ২০০৩ সালে ৫০ শয্যার হাসপাতালটি ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। ২০১৬ সালে এটি ২০০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও লোকবল ও অবকাঠামো রয়েছে ১০০ শয্যারই।